ওয়েব ডেস্ক: পাকিস্তানের (Pakistan) হামলা প্রতিহত করতে ‘আকাশ’ এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম (Akash Air Defence System) ইতিমধ্যেই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছে। সেই সাফল্যের পর ভারতের প্রতিরক্ষায় আত্মনির্ভরতার পথে আরও এক বড় পদক্ষেপ নিল কেন্দ্র। প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং-এর অনুমোদনে এবার ছাড়পত্র মিলল ‘অ্যাডভান্সড মিডিয়াম কমব্যাট এয়ারক্রাফ্ট’ বা এএমসিএ প্রোগ্রাম এগজিকিউশন মডেল-এ। এই মেগা প্রকল্পে দেশীয় প্রযুক্তিতেই তৈরি হবে অত্যাধুনিক পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান।
দীর্ঘদিন ধরেই এই উচ্চাভিলাষী প্রকল্প ঘিরে পরিকল্পনা চলছিল। অবশেষে এডিএ বা এরোনটিক্যাল ডেভেলপমেন্ট এজেন্সিকে দায়িত্ব দিয়ে এই কাজ শুরু হচ্ছে। রাষ্ট্রায়ত্ত এবং বেসরকারি সংস্থাগুলিও এডিএ-কে সাহায্য করবে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, টেন্ডারের মাধ্যমে সংস্থাগুলি এই প্রকল্পে অংশ নিতে পারবে। তারা এককভাবে অথবা যৌথভাবে অংশগ্রহণ করতে পারবে, তবে শর্ত একটাই— টেন্ডার জমাদানকারী সংস্থাটিকে হতে হবে ভারতীয় এবং দেশের আইন মেনে চলতে হবে।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রক জানিয়েছে, ২০২৮-২৯ সালের মধ্যেই প্রথম এএমসিএ প্রোটোটাইপ তৈরি হয়ে যাবে। এরপর ২০৩২-৩৩ সালের মধ্যে এর উৎপাদন শুরু হবে এবং ২০৩৪ সালে তা সেনাবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হবে। এটি হবে এক আসনের, দু’টি ইঞ্জিন বিশিষ্ট, সব ধরনের আবহাওয়ায় কার্যকর, মাঝারি ওজনের অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান। শুধু ভারতীয় বায়ুসেনা নয়, এই যুদ্ধবিমান ব্যবহারের জন্য তৈরি হচ্ছে ভারতীয় নৌবাহিনীর জন্যও।
এই প্রকল্প আত্মনির্ভর ভারতের এয়ারোস্পেস সেক্টরের জন্য এক ঐতিহাসিক পদক্ষেপ বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, প্রাথমিকভাবে প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হবে এই প্রকল্পে। তেজসের পর মাঝারি ওজনের যুদ্ধবিমান নির্মাণ ভারতীয় প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার পরবর্তী চ্যালেঞ্জ। সেই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে দেশীয় প্রযুক্তিতে আকাশ ছোঁয়ার দিশা দেখাচ্ছে ভারত।