ওয়েব ডেস্ক: শুক্রবার ছিল রথযাত্রা। পুরী থেকে দিঘায় সাজো সাজো রব। জমসমাগম হওয়ার আশঙ্কায় একাদিক কড়া ব্যবস্থাও নিয়েছিল প্রশাসন। দিঘায় সমস্ত প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে মুখ্যমন্ত্রী নিজে পর্যবেক্ষন করেছেন। ওড়িষা সরকারের তরফেও জানানও হয়েছিল, বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। কিন্তু তারপরও পুরীর রথযাত্রায় ভয়াবহ দুর্ঘটনা। ব্যাপক ভিড়ের চাপে পদপিষ্টের মত ঘটনা। ঘটনার জেরে আহত হয়েছেন অন্তত ৫৮১ জন। আহতদের মধ্যে অন্তত ৮ জনের অবস্থা গুরুতর। চিকিৎসার জন্য তাঁদের ভর্তি করা হয়েছে হাসপাতালে।
গত কয়েকবছরে বিপুল পরিমান ভিড় হয়েছিল পুরীর মন্দিরে। এবছরও সেই ছবি চেনা। জানা গিয়েছে, জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রার রথ বের হওয়ার আগে থেকেই লক্ষ লক্ষ মানুষের ভিড় জমে। এদিন বলভদ্রের তালধ্বজ রথ টানার সময় রশি ছুঁতে প্রচুর ভক্ত ভিড় করেন। গুন্ডিচা মন্দিরের দিকে টানা হচ্ছিল রথটি। তখনই শুরু হয় প্রচণ্ড হুড়োহুড়ি। তাতেই ঘটে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা।জানা গিয়েছে, ভিড়ের চাপে আহত হন ৫৮১ জন পুণ্যার্থী। গুরুতর এই পরিস্থিতি সামাল দিতে তৎপর হন নিরাপত্তারক্ষীরা। ৫৮১ জন আহতদের মধ্যে ১৭৩ জনকে হাই ডিপেন্ডেন্সি ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে। ৬৮ জনকে ভর্তি করা হয়েছে ওপিডিতে। পাশাপাশি ৮ জনের অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাদের জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
আরও পড়ুন: শনির সকাল থেকেই ঝিরঝিরে বৃষ্টি, কদিন চলবে এই বৃষ্টি
উল্লেখ্য, গত বছরও রথযাত্রার সময় পুরীর গ্র্যান্ড রোডে দমবন্ধ হয়ে এক পুণ্যার্থীর মৃত্যু হয়েছিল। সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি রুখতে এবার প্রশাসন আরও কড়া ব্যবস্থা নেয়। তবে তা সত্ত্বেও বিপদ এড়ানো যায়নি। গত কয়েকদিনে ধর্মীয় অনুষ্ঠানে বহু পদপিষ্টের ঘটনা ঘটেছে। মহাকুম্ভে গিয়েও পদপিষ্টের ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে, ৩০ জনের। গোটা ঘটনার জন্য প্রশাসনের গাফিলতিকে দায়ী করছেন পুণ্যার্থীরা।
দেখুন অন্য খবর