ওয়েব ডেস্ক : মঙ্গলবার রাতে অন্ধ্রপ্রদেশে (Andhrapradesh) আছড়ে পড়ল মন্থা (Montha)। কাকিনাড়ার কাছাকাছি মছলিপত্তনম ও কলিঙ্গপত্তনমের মধ্যে ল্যান্ডফল প্রক্রিয়া শুরু হয়। তার পর তিন থেকে চার ঘন্টা ধরে চলে তান্ডব। ঘূর্ণিঝড়ের (Cyclone) ফলে সেখানে একজন নিহত হন বলে জানা যাচ্ছে। আরো জানা যাচ্ছে, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে রাজ্যের ৩৮ হাজার হেক্টর জমির ফসল ধ্বংস হয়েছে এবং ১ লক্ষ ৩৮ হাজার হেক্টর বাগানের ফসল নষ্ট হয়েছে ।
মঙ্গলবার রাতেই অন্ধ্রের (Andhrapradesh) কাকিনাড়ায় ভূমি ছুঁয়েছে প্রবল ঘূর্ণিঝড় মন্থা। সেই সময় তার গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১১০ কিমি। যার ফলে ব্যাপক বৃষ্টি এবং ঝড়ো হাওয়া বয়ে যায়। এই ঘুর্ণিঝড়ের কারণে প্রায় ৭৬ হাজার মানুষকে নিয়ে যাওয়া হয় নিরাপদ আশ্রয়ে। পাশাপাশি, অন্ধ্রের সরকারের তরফে ২১৯টি চিকিৎসা শিবিরের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া ৮৬৫ টন পশুখাদ্যের ব্যবস্থাও করেছে। মঙ্গলবার রাত সাড়ে আটটা থেকে বুধবার সকাল ৬টা পর্যন্ত কৃষ্ণা, এলুরু এবং কাকিনাড়ায় রাস্তায় যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হয়।
আরও খবর : বুধবার শক্তি হারাল ঘূর্ণিঝড় মন্থা, অন্ধ্রে মৃত ১, ভারী বৃষ্টি ওড়িশা-বাংলায়
জানা যাচ্ছে, শুধু অন্ধ্রপ্রদেশ নয়, মন্থার প্রভাব পড়েছে ওড়িশাতেও (Odisha)। সেখানে ভূমিধসের মতো ঘটনার খবর পাওয়া গিয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ঘড়বাড়িও। মালকানগিরি, কোরাপুট, রায়গড়া, গজপতি, গঞ্জাম, কন্ধমাল, কালাহান্ডি এবং নবরঙ্গপুর জেলাগুলিতে ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া গিয়েছে। মন্থার কারণে বাড়ি ভেঙে আহত হয়েছেন একজন। তবে পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য সরকারের তরফে সবরকম ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এই ঘুর্ণিঝড়ের জেরে পশ্চিমবঙ্গেও (West Bengal) পরোক্ষ প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। গতকাল থেকেই বৃষ্টি শুরু হয়েছে উপকূলবর্তী এলাকাতে। যা চলবে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত। রাজ্যের সব জেলাতেই ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস আগেই দিয়েছে হাওয়া অফিস। সকাল থেকেই শহর কলকাতা ও পার্শ্ববর্তী এলাকাতে মেঘাচ্ছন্ন আকাশ সেই সঙ্গে চলছে বৃষ্টি। মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে নামতে নিষেধাজ্ঞা জারি রয়েছে।
দেখুন অন্য খবর :