ওয়েবডেস্ক- বিহার ভোট (Bihar Assemble Election) যত এগিয়ে আসছে, ততই নির্বাচনী উত্তাপ বাড়ছে। সেই সঙ্গে চলেছে অভিযোগ থেকে শুরু করে পাল্টা উত্তরের লড়াই। একই সঙ্গে গণতান্ত্রিক জোট (এনডিএ) (NDA) জোটের ভিতরে অস্তিরতা বাড়ছে। জন সুরজ পার্টির নেতা প্রশান্ত কিশোরের (Jan Suraj Party leader Prashant Kishor) দাবি, মহাগঠবন্ধন জোট বা ইন্ডিয়া জোট (INDIA Bloc) যেভাবে ভগ্নদশার মধ্যে চলে যাচ্ছে, সেক্ষেত্রে আসন্ন ভোটে মূলত লড়াই হতে চলেছে এনডিএ জোটের সঙ্গে জন সুরজ পার্টির (প্রশান্ত কিশোরের দল) ।
এই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে এলজেপি পার্টির প্রধান চিরাগ পাসোয়ান (LJP party chief Chirag Paswan) বলেছেন, বিহারে মানুষ এই রাজ্যের উত্থান পতন দেখেছেন। বিহারকে নতুন করে গড়ে তোলার পিছনে তারা দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করেছে। বিহারের প্রত্যেক জন মানুষ বিহার নিয়ে যথেষ্ঠ সচেতন। সেক্ষেত্রে নতুন গজিয়ে ওঠা জন সুরজ পার্টি প্রধান যে দাবি করছে যে বিহারের ভোট এনডিএ বা এনডিএ-এর সঙ্গে জন সুরজ পার্টির এই রকম বিহারের মানুষ বিশ্বাস করে না।
আরও পড়ুন- দীপাবলি ও ছটপুজো উপলক্ষে বিশেষ ট্রেন পরিষেবা চালু রেলের!
বিহারে মানুষ জানে এই রাজ্যের উন্নতি করতে হলে, কেন্দ্রের যে সরকার রয়েছে, তার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বিহারের উন্নয়নমুখী কাজগুলিতে তারা ত্বরানিত করতে পারে বলে, বিহারের মানুষ তাদেরই ভোট দেবে। কে কী দাবি করল তার উপর ভিত্তি করে বিহারের মানুষ ভোট দেবে না। কারণ তারা জানে এই যে নতুন গজিয়ে ওঠা জন সুরজ পার্টি বিহারের ক্ষমতায় আসবে না, শুধু আসবে না বলাও ভুল, তাদের আসার কোনও সম্ভাবনাও নেই। এই পরিস্থিতিতে চিরাগ মনে করছেন বিহার ভোটে এনডিএ-এর সঙ্গে লড়াইয়ে যথেষ্ঠ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে এলজেপির।
এলজেপির বিধায়করা ভোটে যে সমস্ত জায়গায় দাঁড়িয়েছেন তারা জয়যুক্ত হলে বিহারের সার্বিক উন্নয়ন হবে। জন সুরজ পার্টির প্রধানের বক্তব্য, অনেকটাই হাস্যকর বলে মন্তব্য করেছেন চিরাগ পাসোয়ান। চিরাগের আরও দাবি, ইন্ডিয়া জোট বা মহাগঠবন্ধন, ক্রমশ ক্ষয়িষ্ণুতার দিকে যাচ্ছে আসন বন্টনের রফাসূত্র নিয়ে যে ঝামেলা বাড়ছে, সেক্ষেত্রে বিহারে এনডিএ জোটের বিহারে পুনরায় আসার রাস্তা প্রায় মসৃণ। এই রকম পরিস্থিতিতে জন সুরয পার্টির পক্ষ থেকে যে দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্য করা হয়েছে, তা কোনওভাবেই বিহারের মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার বিজেপি তাদের প্রথম দফার তালিকা প্রকাশ করেছে। সেখানে ৭১ জন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়। এই এই পদক্ষেপে জোটের সহযোগী দলগুলির মধ্যে অসন্তোষ ছড়িয়েছে, যদিও নেতারা দাবি করেন, আলোচনাগুলি “সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে” চলছে।
দেখুন ভিডিও-