মুম্বই: লখিমপুর খেরির ঘটনার নিন্দা করার জন্য আয়কর দফতরের হানার শিকার হলেন ভাইপো অজিত পাওয়ার। শুক্রবার এমনটাই জানালেন মহারাষ্ট্রে এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ার। গতকাল বৃহস্পতিবার শরদ পাওয়ারের ভাইপো তথা এনসিপি নেতার একাধিক সংস্থায় হানা দেয় আয়কর দফতর। বানিজ্যিক লেনদেন সংক্রান্ত একাধিক বিষয়ে আয়কর দফতরের জেরার মুখে পড়তে হয়েছে একাধিক ব্যক্তিকে। এই ঘটনাকে কেন্দ্রের প্রতিক্রিয়া বলে জানিয়েছেন শরদ পাওয়ার।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার মহারাষ্ট্রের উপ-মুখ্যমন্ত্রী অজিত পাওয়ারের একাধিক বানিজ্যিক সংস্থায় হানা দেন আয়কর আধিকারিকেরা। জেরা করা হয় একাধিক ব্যক্তিকে। লেনদেন সংক্রান্ত একাধিক নথি খতিয়ে দেখছে আয়কর দফতর। এই সংস্থাগুলির সঙ্গে জড়িত রয়েছেন অজিত পাওয়ারের বোনও। তাঁকেও তদন্তের আওতায় আনা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: লখিমপুরে হিংসার ঘটনায় দু’জনকে গ্রেফতার করল উত্তরপ্রদেশ পুলিশ
যদিও এই ঘটনায় নিজের অবস্থান থেকে একচুল নড়তে নারাজ এনসিপি প্রধান। লখিমপুরের ঘটনাকে জালিয়ানওয়ালাবাগের হত্যাকাণ্ডর সঙ্গে তুলনা করে তিনি বলেন, রাজ্যে প্রশাসনের ক্যাবিনেট বৈঠকে তিনি বিষয়টি নিয়ে জোর সওয়াল করেছেন। এবং আগামীদিনেও করবেন। লখিমপুর নিয়ে এনসিপি যে অবস্থান নিয়েছে তার প্রতিক্রিয়ায় মোদি সরকার আয়কর দফতরকে ব্যবহার করেছে বলে অভিযোগ করেন পাওয়ার।
আরও পড়ুন: মাদক কাণ্ডে আরিয়ান খান সহ ধৃতদের বিচার বিভাগীয় হেফাজত
এছাড়াও আরিয়ান খানের মাদক কাণ্ড নিয়েও মুখ খোলেন এই প্রবীণ রাজনীতিক। কর্ডেলিয়া ক্রুজে এনসিবির সঙ্গে বিজেপি নেতার জড়িত থাকার ঘটনাকেও তীব্র নিন্দা করেন তিনি। গত বুধবার আরিয়ান খানকে গ্রেফতার সময় মহারাষ্ট্রের এক বিজেপি নেতা ও তাঁর ব্যক্তিগত গোয়েন্দা সামিল ছিলেন বলে অভিযোগ তুলেছিলেন এনসিপি মুখপাত্র নওয়াব মালিক। তারপর আরিয়ান ইস্যুত শরদের মন্তব্য গোটা ঘটনায় রাজনৈতিক রঙ লাগলো বলেই মনে করছে ওয়াকিবহালমহল।
.