নয়া দিল্লি: কেন্দ্রের ওয়াকফ সংশোধনী আইনকে (WAQF Bill) চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী ও তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ূন কবীর। আবেদনকারীদের দাবি, ওয়াকফ গঠনের জন্য কেবল একটি ঘোষণাই যথেষ্ট অর্থাৎ লিখিত দলিলের প্রয়োজন নেই। এছাড়াও ওয়াকফ সংশোধনী বিল ভারতীয় সংবিধানের পরিপন্থী। তাই কেন্দ্রের ওয়াকফ সংশোধনী আইনের উপর স্থগিতাদেশ জারি করুক সুপ্রিম কোর্ট।
আবেদনকারীদের দাবি, ইসলামী ধর্মতত্ত্বের বিশিষ্ট পণ্ডিতরা ইসলামিক আইনের প্রণেতা আমির আলীর মন্তব্যের ৫ম সংস্করণের ধারণার উপর নির্ভর করেছেন এবং যা প্রাসঙ্গিক বলে মনে করেন। পরবর্তীকালে আমির আলীর ইসলামিক আইনের পঞ্চম সংস্করণের দায়িত্ব নেন বিচারপতি এস.এইচ. এ. রেজা। বিচারপতি রেজার সংশোধিত পৃষ্ঠার ৭৭৩-৭৮৮ পাতায় উল্লেখ আছে ওয়াকফ গঠনের জন্য কেবল একটি ঘোষণাই যথেষ্ট অর্থাৎ লিখিত দলিলের প্রয়োজন নেই।
আরও পড়ুন: অতিরিক্ত ফি বরদাস্ত করা হবে না, বেসরকারি স্কুলগুলিকে হুঁশিয়ারি দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর
ভারতের সাংবিধানিক আদালত সংবিধানের ১৪১ অনুচ্ছেদের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি এস.এইচ. এ. রেজা কর্তৃক সংশোধিত ধারণাটিকে স্বীকৃতি দিয়েছে। ১৮৬৩ সালের ধর্মীয় দান আইনে সমস্ত ধর্মের দান এবং প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থাপনার উপরে উল্লেখ রয়েছে। যার মধ্যে ওয়াকফ ব্যবস্থাপনার ধারণাটিও রয়েছে। এই দান আইনের ক্ষেত্রে সরকারের ক্ষমতা সম্পূর্ণ ভিন্ন। এক্ষেত্রে সরকারের কোন ভূমিকা থাকতে পারে না। অ্যাইনে আরও উল্লেখ আছে আইনের ৩ এবং ৮ ধারায় বলা হয়েছে যে, এই ধরণের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান পরিচালনার জন্য গঠিত কমিটিগুলি আইনের ৮ ধারা থেকে হবে
ধর্ম পালনকারী ব্যক্তিদের মধ্যে যারা মসজিদ, মন্দির বা অন্যান্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের রক্ষণাবেক্ষণে আগ্রহী তাদের সাধারণ ইচ্ছা অনুযায়ী চলবে। এই ধরণের মসজিদ, মন্দির বা অন্যান্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য যে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, সেই উদ্দেশ্যেই ধর্মপালন করা হবে।
আবেদনকারীরা চান, ১৯৯৫ সালের ওয়াকফ আইনের ওপর সংশোধনী ধারা গুলির বাস্তবায়নের ওপর স্থগিতাদেশ জারি করুক। ২০২৫ সালের সংশোধনী আইন ভারতের সংবিধানের ১৪, ১৫, ২৫, ২৬ এবং ৩০০(এ) অনুচ্ছেদ লঙ্ঘন করে। ২০২৫ সালের সংশোধনী আইন খারিজ করুক আদালত।
সুপ্রিম কোর্টের বিচার প্রক্রিয়ায় সাধারণ মানুষের স্বার্থ ও সংবিধানে উল্লেখিত বিষয়গুলি বিশেষভাবে প্রাধান্য পায়। এক্ষেত্রে নওশাদ সিদ্দিকী ও হুমায়ুন কবিরের দাবি অনুযায়ী ওয়াকফ সংশোধনী আইন সংবিধানের পরিপন্থী। তাই আবেদনকারীদের ধারণা সুপ্রিম কোর্ট তাদের আবেদনে সারা দেবে।
দেখুন আরও খবর: