ওয়েব ডেস্ক: পাকিস্তানের উদ্দেশ্য ছিল ভারতে দাঙ্গা বাধানোর। পহেলগাম হামলার পর প্রথমবার কাশ্মীরে বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi)। পহেলগাম হামলার পর অপারেশন সিঁদুর করে বুঝিয়ে দিয়েছে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের জিরো টলারেন্স নীতি। শুক্রবার জম্মুতে গিয়ে পাকিস্তানের (Pakistan) ষড়যন্ত্রের পর্দাফাঁস করলেন মোদি। তিনি বলেন, ‘‘৬ মে রাতে পাকিস্তানের সন্ত্রাসীদের উপর হামলা চলে। এখন পাকিস্তান যখনই ‘অপারেশন সিঁদুরের’ নাম শুনবে, তখন তাদের সর্বনাশের কথা মনে পড়বে। প্রধানমন্ত্রী বললেন, পহেলগামেয়ে হামলার নেপথ্যে পাকিস্তানের মূল উদ্দেশ্য ছিল দেশে দাঙ্গা বাঁধানো। কিন্তু কাশ্মীরবাসীই গোটা বিশ্বকে বার্তা দিয়ে দিয়েছে, যে সন্ত্রাসবাদকে যোগ্য জবাব দিতে তারা প্রস্তুত।
পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার ঘটনায় ২৬ জনের মৃত্যু হয়। তার প্রতিশোধ নিতে ভারত একের পর এক কূটনৈতিক পদক্ষেপ নিয়ে। তার মধ্যেই অন্যতম সিন্ধু জলবণ্টন চুক্তি স্থগিত করা। পাকিস্তানের ভিসা বাতিল করা, ভারতে বসবাস করা সমস্ত পাকিস্তানের নাগরিকে ভারত ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া। তারপর পাকিস্তানে প্রত্যাঘাত করে ভারত। ২২ মিনিটের অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor), গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় একাধিক পাক জঙ্গি ঘাঁটি। মোদি হুঙ্কার দিয়ে পাকিস্তানকে জানিয়েছেন, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারত চুপ করে বসে থাকবে না। পাল্টা প্রত্যাঘাত করবে ভারত। পাকিস্তান গুলি মারলে ভারত গোলা মারবে।
আরও পড়ুন: কাশ্মীরে অপারেশন সিঁদুর নিয়ে বিরাট মন্তব্য মোদির
কাশ্মীর থেকে ফের এক বার সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে সুর চড়ালেন মোদি। তাঁর অভিযোগ, ভারতে দাঙ্গা বাধানোর চেষ্টা করেছিল পাকিস্তান। মোদির কথায়, পাকিস্তান কাশ্মীরের পর্যটনের উপর হামলা করেছে। এই পর্যটন থেকে জম্মু-কাশ্মীরের গরিবদের সংসার চলে, সেই পর্যটনকে নিশানা করেছে পাকিস্তান। এ দিন নাম না করে পাকিস্তানকে ‘মানবতার বিরোধী’ বলে কটাক্ষ করেন মোদী। তিনি বলেন, ‘২২ এপ্রিল পহেলগামে যা হয়েছে, তা পাকিস্তানের মানবতা বিরোধী হওয়ার উদাহরণ।তিনি বলেন, পর্যটন থেকে রোজগার বাড়ে। পর্যটন মানুষকে জোড়ে। কিন্তু দুর্ভাগ্য আমাদের পড়শি দেশ মানবতাবিরোধী এবং পর্যটনবিরোধী। পহেলগাঁওয়ে ২২ এপ্রিল যা হয়েছে এটা তার উদাহরণ। তিনি এ দিন আরও বলেন, ‘জম্মু-কাশ্মীরের মানুষ সন্ত্রাসবাদকে কড়া জবাব দিতে প্রস্তুত।’
মোদি বলেন, ‘‘জম্মু-কাশ্মীরের যুবসমাজ সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে জবাব দেওয়ার জন্য প্রস্তুত। দীর্ঘদিন ধরে সন্ত্রাসবাদের জেরে জম্মু-কাশ্মীরে অনেক ক্ষতি হয়েছে। ওই কারণে এখানকার মানুষ স্বপ্ন দেখাই ছেড়ে দিয়েছিল। সন্ত্রাসবাদকেই নিজেদের ভাগ্য বলে মেনে নিতে শুরু করেছিলেন। তবে আমরা সেটা পাল্টে দিতে পেরেছি। এখন জম্মু-কাশ্মীরের যুবসমাজ স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছে। শুধু তা-ই নয় তা পূরণও করছে।
অন্য খবর দেখুন