জয়পুর: ফের ধর্মীয় কারণে হেনস্থার শিকার হতে হল এক মুসলিম ব্যক্তিকে। যা নিয়ে ছড়াল উত্তেজনা। মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরের পর এবার সেই একই ঘটনা ঘটল রাজস্তানের আজমের জেলায়। পাঁচ যুবক মিলে এক ব্যক্তিকে মারধোর করে হুমকি দিয়ে বলল, “পাকিস্তান চলে যা।” ওই ঘটনায় অভিযুক্তদের গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
ওই মারধোরের ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই আসরে নামে পুলিশ। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয় ওই ভিডিও। যার ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে আজমের পুলিশ। গ্রেফতার কড়া হয়েছে অভিযুক্ত পাঁচ যুবককে। ধৃতেরা হল- ললিত শর্মা, সুরেন্দ্র, তেজপাল, রোহিত শর্মা এবং শৈলেন্দ্র তাঙ্ক। প্রথম জন ছাড়া সকলের বয়স ২৭ থেকে ৩২ বছরের মধ্যে।
ধৃতদের বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িক হিংসা ছড়ানোর অভিযোগে মামলা রুজু কড়া হয়েছে। গ্রেফতারের পড়ে আদালতে তোলা হলে অভিযুক্তেরা জামিন পেয়ে গিয়েছে। উল্লেখযোগ্য বিষয় হচ্ছে নির্যাতনের শিকার হয়া ওই ব্যক্তির এখনও খোঁজ মেলেনি। শীঘ্রই তাঁকে খুঁজে বের করে বয়ান রেকর্ড কড়া হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
আরও পড়ুন- মার্কিন সেনাদের খাওয়ানোর পুরস্কার, আফগানিস্তান থেকে বাড়ি ফিরলেন বাদুরিয়ার কপিল
আজমের জেলার সার্কেল অফিসার মুকেশ কুমার সোনি জানিয়েছেন যে গত শুক্রবার বিষয়টি আমাদের নজরে আসে। সুভেষ নগর এলাকায় গত সপ্তাহেই ওই নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে বলে মনে কড়া হচ্ছে। ভিডিও দেখেই পাঁচ অভিযুক্তকে চিহ্নিত করা গিয়েছে। শীঘ্রই নির্যাতিত ব্যক্তিকেও খুঁজে পাওয়া যাবে। মনে কড়া হচ্ছে ওই ব্যক্তি অন্য কোনও রাজ্য থেকে রাজস্থানে এসেছিলেন।
আরও পড়ুন- স
আজমের জেলার রামগঞ্জ থানা এলাকায় ওই ঘটনাটি ঘটেছিল। ওই থানার কনস্টেবল গজেন্দ্র জানিয়েছেন যে ভারতের বিভিন্ন স্থান থেকে বহু মানুষ তীর্থ করতে আজমের আসেন। ওই জেলাতেই রয়েছে ভারতে মুসলিমদের প্রধান তীর্থক্ষেত্র আজমের শরিফ। নির্যাতিত ব্যক্তি খুব সম্ভবত উত্তপ্রদেশের বাসিন্দা। তীর্থের কারণেই তিনি আজমের এসেছিলেন। তবে ওই নির্যাতিত ব্যক্তি কিনা সেই বিষয়ে এখনও নিশ্চিত নয় পুলিশ।
দিন কয়েক আগে মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরে ২৫ বছরের এক চুড়ি বিক্রেতাকে বেধড়ক মারধর করে একদল জনতা৷ যা নিয়ে বিতর্কের রেশ না কাটতেই ফের শিরোনামে উঠে এল সমতুল ঘটনা। যা নিয়ে সরব হয়েছেন হায়দরাবাদের সাংসদ আসাদুদ্দিন ওয়াইসি। তিনি বলেছেন, “এখন দেশে বড় হিন্দুত্ববাদী হয়ার জিগির উঠেছে। সেই কারণেই একজন মুসলিম ফকিরকে মারধোর করা হচ্ছে। অন্য জায়গায় আবার চুড়ি বিক্রেতাকে একদল লোক মারছে মুসলিম হয়ার কারণে। এই সকল বিষয়ের বিরুদ্ধে এখনই সরব হতে হবে। অন্যথায় ক্যান্সারের মতো এই রোগ সমাজে ছড়িয়ে পড়বে।”