দেরাদুন: শারীরিক দূরত্বের বালাই নেই, মুখে মাস্কও নেই। এই অবস্থায় ভিড় করে জলপ্রপাতের জলে গা ভেজাচ্ছেন কয়েকশো মানুষ। কোভিড বিধি শিকেয় তুলে জলকেলিতে মত্ত আট থেকে আশি। উত্তরাখণ্ডের মুসৌরির কেম্পটি ফলসে পর্যটকদের ভিড়ের চিত্র সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতেই দেশজুড়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল। উত্তরাখণ্ড সরকারের ভূমিকার প্রবল সমালোচনা শুরু হয়।
দেশজোড়া সমালোচনার মুখে এবার নড়েচড়ে বসল উত্তরাখণ্ড সরকার। কেম্পটি ফলসে ভ্রমণের ক্ষেত্রে একাধিক বিধিনিষেধ আরোপ করেছে জেলা প্রশাসন। তেহরি গাড়োয়ালের জেলাশাসক জানান, এবার থেকে কেম্পটি ফলসে একসঙ্গে ৫০ জনের বেশি পর্যটক প্রবেশ করতে পারবেন না। সর্বোচ্চ ৩০ মিনিট থাকা যাবে। পুরো বিষয়টি দেখভাল করার জন্য চেকপোস্ট বসানো হবে।
সংক্রমণ নিম্নমুখী হতেই উত্তর ভারতের রাজ্যগুলিতে পর্যটনের দ্বার খুলে দেওয়া হয়েছে। শিথিল হয়েছে বিধিনিষেধ। লকডাউনের মেয়াদ ১৩ জুলাই পর্যন্ত বাড়ালেও পর্যটন ক্ষেত্রে বেশকিছু ছাড় দিয়েছে উত্তরাখণ্ড সরকার। হোটেল ও রেস্তরাঁগুলিকেও ৫০ শতাংশ লোক রাখার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। আরটি–পিসিআর নেগেটিভ রিপোর্ট দেখিয়ে উত্তরাখণ্ডে ঘুরতে পারছেন পর্যটকেরা।
সেকারণেই হিমাচল প্রদেশ ও উত্তরাখণ্ডে ক্রমশ ভিড় বাড়তে শুরু করেছে পর্যটকদের। উত্তর ভারতে লাগাতার তাপপ্রবাহের জেরে পাহাড়ে ভিড় জমিয়েছেন পর্যটকরা। দিন কয়েক আগে আগে হিমাচলের মানালির ভিডিও-ছবি ভাইরাল হয়েছে। বহু মানুষের ভিড় দেখা গিয়েছে মানালির ম্যাল এলাকায়। তারপর বুধবার ভাইরাল হয় মুসৌরির কেম্পটি ফলসে পর্যটকদের ভিড়ের চিত্র।
মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও পর্যটকদের এই ভিড় নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘এটা মোটেই কোনও সুখকর ছবি নয়, বরং ভয় দেখানোর ছবি। কোভিড যোদ্ধারা পুরোদমে লড়ছেন। এখন গা-ছাড়া মনোভাবের কোনও জায়গা নেই। একটা সামান্য ভুলের অনেক বড় মাসুল দিতে হতে পারে!’