উত্তরপ্রদেশ: উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) মহারাজগঞ্জে রহস্যজনকভাবে গত ১০ মাসে ১১১ শিশুর মৃত্যু (Children Death) হয়েছে। তবে এর প্রকৃত কারণ এখনও জানা যায়নি। ঘটনায় চাঞ্চল্য গোটা উত্তরপ্রদেশে। রীতিমতো আতঙ্কিত প্রসূতিরা।
লখনউয়ের কুইন মেরি হাসপাতালের গবেষণা অনুসারে, গর্ভবতী মহিলাদের দুধে কীটনাশক পাওয়া গিয়েছে। নবজাতকের মৃত্যুর কারণ অনুসন্ধানে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (ডিএম) তিন সদস্যের একটি কমিটিও গঠন করেছেন। সেই কমিটির দাবি, ওই মহিলাদের খাবারের মধ্যেই মিশে ছিল বিষ। আর সেই বিষ রক্তের মাধ্যমে ভ্রূণে প্রবেশ করে। আর তার জেরেই এই মর্মান্তিক ঘটনা।
চিকিৎসকদের মতে, কীটনাশক (Poison) মায়ের দুধের মাধ্যমে ভ্রুণে পৌঁছায়। বুকের দুধ, যার ভিতরে কিছু পরিমাণে কীটনাশক উপস্থিত রয়েছে, তা শিশুদের মারাত্মক ক্ষতি করেছে।
দেখা গিয়েছে যেসব নারী আমিষ খাবার থেকে দূরে থাকেন তাঁদের বুকের দুধে কীটনাশকের মাত্রা বেশি।
জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (ডিএম) মৃত্যুর হার বৃদ্ধির পিছনে কারণ খুঁজতে প্রধান উন্নয়ন কর্মকর্তার (সিডিও) সভাপতিত্বে একটি ৩ সদস্যের কমিটি গঠন করেন।
ওই অঞ্চলের ১৩০ জন অন্তঃসত্ত্বা মহিলার প্রতি দিনের খাওয়ার ধরনের উপর সমীক্ষা চালানো হয়। এদের মধ্যে যে কজন মহিলা নিরামিষ খান তাঁদের পুষ্টির অভাব পূরণ করতে প্রতিদিনই দুধ খেতে দেওয়া হয়। সেই দুধের নমুনা সংগ্রহ করে গবেষকরা জানান, তাতে বিষাক্ত রাসায়নিকের উপস্থিতি পাওয়া গিয়েছে।
আরও পড়ুন:Usthi Incident: স্বামীকে বিষ খাওয়ানোর অভিযোগ উঠল স্ত্রী ও তাঁর শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে
মূলত ব্যবসায়িক স্বার্থে দুধের পরিমাণ বাড়ানোর জন্য গবাদি পশুর শরীরে বিশেষ ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়। খাবারে মেশানো হয় বিভিন্ন ধরনের ওষুধ। আর নিরামিষাশীরা দুগ্ধজাত খাবার বেশি খেয়ে থাকেন। যে কারণে ওই সব মহিলাদের শরীরে বিষের পরিমাণ বেশি পাওয়া গিয়েছে।
সবুজ শাকসবজি ও ফসলে বিভিন্ন ধরনের কীটনাশক ও রাসায়নিক দ্রব্য দেওয়া হয়। যা একজন মহিলার দুধে কীটনাশক গঠনের সাহায্য করে। ওই কমিটি জানিয়ছে শিশুমৃত্যুর পাশাপাশি গর্ভবতী মায়েদের মৃত্যুর হার বেড়ে যাওয়ার কারণওটিও খতিয়ে দেখবে।