কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: হাথরাস থেকে দাদরি। গণধর্ষণ কিংবা গণপিটুনির মতো একাধিক ঘটনায় বারবার সংবাদ শিরোনামে উঠে এসেছে উত্তর প্রদেশের নাম। রাজ্যজুড়ে নারী নিগ্রহ কিংবা দলিত নিগ্রহের ঘটনায় অপরাধের ধারা বজায় রেখেছে যোগী রাজ্য। এবার এমনই আরও এক গণপিটুনির ঘটনা ধরা পরল উত্তরপ্রদেশের বালিয়া জেলায়। এক যুবককে দড়ি বেঁধে গণপিটুনির পর তাঁকে ইলেকট্রিক শক দেওয়ার অভিযোগ উঠল চার উন্মত্ত যুবকের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে গত শনিবার বালিয়া জেলার সাহাতপুর থানা এলাকায়। ঘটনার পর গণপিটুনির এই নৃশংস দৃশ্য সোশ্যাল-মিডিয়ায়-ভাইরাল হয়। ওই চার অভিযুক্তের বিরুদ্ধে সাহাতপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করে আক্রান্তের পরিবার।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আক্রান্ত যুবকের নাম পিন্টু রাজভর। তিনি সুরাইয়া গ্রামের বাসিন্দা। গত ৭ অগাস্ট রাত তিনটের সময় তাকে বেঁধে মারধর করে অভিযুক্তেরা। দড়ি বাঁধা অবস্থায় মারধোর করার পর তাকে ইলেকট্রিক শক দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।
আরও পড়ুন: তারাপীঠের হোটেল থেকে ঝাঁপ, চিকিৎসা না করিয়ে যুবককে বেঁধে রাখল স্থানীয়রা
বর্তমানে ওই আক্রান্ত যুবক স্থানীয় জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তার শারীরিক অবস্থাও যথেষ্টই আশঙ্কাজনক বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে।
थाना सहतवार अंतर्गत एक युवक को मारने पीटने की घटना पर #PsSahatwar द्वारा अभियोग पंजीकृत कर पुलिस टीम द्वारा अभियुक्तों की गिरफ्तारी हेतु दबिस दिये जाने के संबन्ध में क्षेत्राधिकारी बांसडीह की बाइट ।@Uppolice @dgpup @adgzonevaranasi @digazamgarh @homeupgov @UPGovt @CMOfficeUP pic.twitter.com/dd9wXfUq6z
— Ballia Police (@balliapolice) August 10, 2021
এই ঘটনার প্রেক্ষিতে অভিযুক্ত ওই চার যুবকের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৭ ধারা হত্যার চেষ্টা ও ৩৪২ ধারা তথা অন্যায় ভাবে আটকে রাখার মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। যদিও এই ঘটনার পর থেকেই পলাতক ওই চার অভিযুক্ত যুবক। অভিযুক্তদের খুঁজে বের করতে সমস্ত সম্ভাব্য গোপন আস্তানায় ইতিমধ্যেই তল্লাশি অভিযান শুরু হয়েছে। পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ভিডিওটি খতিয়ে দেখতে তদন্তে নেমেছে পুলিশ ।
আরও পড়ুন: মালদহে তিন বছরের মেয়েকে গলা কেটে খুন করল মা
খুন ধর্ষণ গণহত্যার কিংবা গণপিটুনি সমস্ত অপরাধ এই বার বার উঠে এসেছে যোগী রাজ্যের নাম। শুধু তাই নয় এনসিআরবি অর্থাৎ ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরো রিপোর্টে শীর্ষে যোগী রাজ্য। আসন্ন নির্বাচনের আগে রাজ্যজুড়ে চলতে থাকা এই অপরাধে প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণ না আনলে বেকায়দায় পড়তে হতে পারে যোগীকে। কারণ নির্বাচনে রাজ্যের অপরাধ মূলক ঘটনাগুলিকে ভোটের একটি তাস হিসেবে যোগীর বিরুদ্ধে ব্যবহার করতে পারে বিরোধীরা। এমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিক মহল।