নয়াদিল্লি: জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দিতে গিয়ে বড় ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ৭৫ তম স্বাধীনতা দিবসের দিনে লালকেল্লা থেকে দেওয়া ভাষণে জানিয়েছেন সরকারের ‘গতিশক্তি’ প্রকল্পের কথা। যার জন্য ১০০ লক্ষ কোটি টাকা খরচের কথাও ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। যা নিয়ে কটাক্ষ করল কংগ্রেস।
আরও পড়ুন- মেধার বিচারে দেশে সেরার তালিকায় কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়, শুভেচ্ছা মুখ্যমন্ত্রীর
২০১৯ সাল থেকে প্রধানমন্ত্রীর স্বাধীনতা দিবসের বক্তব্যের ভিডিও টুইট করেছেন কংগ্রেস নেতা শ্রীনিবাস ভদ্রবতী ভেঙ্কাটা। ভারতের জাতীয় কংগ্রেসের যুব সংগঠনের সভাপতির টুইটে দেখা গিয়েছে ২০১৯ সালে প্রধানমন্ত্রী ১০০ লক্ষ কোটি টাকা বরাদ্দ করার কথা বলছেন পরিকাঠামোমূলক উন্নয়নে যার ফলে বিপুল কর্মসংস্থান হবে।
আরও পড়ুন- আফগানিস্তান ছাড়লেন প্রেসিডেন্ট আসরাফ ঘানি: তোলো নিউজ
২০২০ সালেও একই কথা শোনা গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণে। যেখানে তিনি দাবি করেছিলেন যে পাইপলাইন প্রকল্পে ১১০ কোটি টাকা খরচ করা হয়েছে। এবং যা বিপুল সংখ্যক কর্মসংস্থানে সহায়ক হয়েছে। এরপরে চলতি বছরের স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানেও প্রায় একই কথা শোনা দেল মোদির মুখে। রবিরার ১০০ লক্ষ কোটি টাকার প্রধানমন্ত্রী গতিশক্তি-র কথা ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। যার মাধ্যমে দেশের যুবসমাজের জন্য চাকরির সুযোগ তৈরি করা হবে। এর পাশাপাশি সামগ্রিক পরিকাঠামোগত বৃদ্ধিও ঘটনাো হবে।
ভারতের যুব কংগ্রেসের সভাপতি শ্রীনিবাস ভদ্রবতী ভেঙ্কাটা কর্ণাটকের বাসিন্দা। তিনি তিন বছরের ভিডিও টুইট করে উপযুক্ত ক্যাপশন জানতে চেয়েছেন।
Please caption this 100L Cr. video 👇 pic.twitter.com/am73yWxcsV
— Srinivas BV (@srinivasiyc) August 15, 2021
অন্যদিকে, মোদির ৭৫তম স্বাধীনতা দিবসের বক্তব্যকে ‘অশুভ সতর্কবাণী’ বলে দাবি করেছেন সিপিএম নেতা সীতারাম ইয়েচুরি। তাঁর মতে, “ফাঁকা আওয়াজ দিয়ে গেলেন প্রধানমন্ত্রী। দেশের সমস্যা সমাধান নিয়ে কোনও কথা নেই। এই অশুভ সতর্কবাণী যে আমাদের জীবন আরও নষ্ট হতে থাকবে।”
আরও পড়ুন- কাশ্মীরে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করলেন জঙ্গিনেতা বুরহানের বাবা
গত শনিবার তৃণমূল নেতা যশবন্ত সিনহা দাবি করেছেন যে ২০১৬ সাল থেকে দেশের অর্থনীতি খারাপ হয়েছে। ২০১৯ সালে বেকারত্ব চরমে উঠেছিল। তার পরের বছর থেকে করোনার কারণে অবস্থা আরও খারাপ হয়েছে। উল্লেখযোগ্য বিষয় হচ্ছে যে এই যশবন্ত সিনহা একসময়ে বিজেপিতে ছিলেন। বাজপায়ী জমানায় তিনি দেশের অর্থমন্ত্রীও ছিলেন।