ওয়েবডেস্ক: আজ সৌদি আরবের (Saudi Arabia) উদ্দেশে রওনা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। সেখানে সৌদির যুবরাজ মুহাম্মদ বিন সলমনের (Muhammad bin Salman) সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী। আজ সকালে জেড্ডার বিমানে রওনা দেন তিনি। যুবরাজের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক এই বৈঠকে প্রতিরক্ষা, বাণিজ্য, বিনিয়োগ সহ জ্বালানি, জংসংযোগ একাধিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে।
সফরের আগে মোদি বলেন, দুই দেশের মধ্যেই আঞ্চলিক শান্তি, সমৃদ্ধি, নিরাপত্তা সহ স্থিতিশীলতা বৃদ্ধিতে দুই দেশই বদ্ধ পরিকর। ভারত সব সময়ই সৌদি আরবের সঙ্গে তাদের ঐতিহাসিক সম্পর্ককে সম্মান জানিয়ে এসেছে। সাম্প্রতিক এই বছরগুলিতে দুই দেশের মধ্যে এই সম্পর্ক আরও পূর্ণতা পেয়েছে।
আরও পড়ুন: এক দেশ এক ভোট নিয়ে মতামত নিতে খোলা হবে ওয়েবসাইট
উল্লেখ্য, সৌদির প্রধানমন্ত্রী, মুহাম্মদ বিন সলমনের সৌদির আমন্ত্রণেই প্রধানমন্ত্রী মোদির এই বিদেশ সফর। সেখানে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা হবে দু দেশের রাষ্ট্রপ্রধানের মধ্যে। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার করতে জনগণের ভূমিকাকেও অগ্রাধিকার দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। সৌদিতে বসবাসকারী প্রবাসী ভারতীয়দের দু’দেশের মধ্যে ‘জীবন্ত সেতু’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন তিনি।
কূটনৈতিক দিক দিয়ে এই বৈঠক দুই দেশের জন্য তাৎপর্যপূর্ণ। ভারতে সৌদির অপরিশোধিত তেল রফতানি এবং তৈল সংশোধনাগারে বিনিয়োগের বিষয়েও আশাবাদী কূটনৈতিক মহল। পাশাপাশি দুই দেশের মধ্যে অন্তত ৬টি মউ সাক্ষর হতে পারে বলে মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহল। আলোচনা হতে পারে হজ যাত্রীদের কোটা-সহ এই সংক্রান্ত একাধিক বিষয় নিয়েও।
উল্লেখ্য, মোদি জমানায় দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও গাঢ় হয়েছে। সেই সম্পর্ককে আরও জোরদার করতে দুদিনের কর্মসূচি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর এই সফর।
প্রসঙ্গত, ভারতের সর্বোচ্চ অপরিশোধিত তেল রফতানিকারি তিনটি দেশের মধ্যে একটি হল সৌদি আরব। মোদির সফরে ভারতকে তেল রফতানির ক্ষেত্রে বিশেষ ছাড়ের ঘোষণা করতে পারে রিয়াধ। ২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসার পর, এটি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির তৃতীয় সফর। এর আগে ২০১৬ সালে এবং ২০১৯ সালেও সৌদি গিয়েছেন তিনি। আর ২০২৩ সালে ভারতে আসেন সৌদির যুবরাজ সলমন ।
দেখুন অন্য খবর: