ওয়েব ডেস্ক: দরগা (Dargah) ভাঙতে (Demolition) গিয়ে চরম অশান্তির মুখোমুখি হতে হল প্রশাসনকে। পাথরের আঘাতে আহত ১১-র বেশি পুলিশকর্মী। মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) নাসিকের (Nashik Unrest) কাথে গলি এলাকার ঘটনা। জানা গিয়েছে, বুধবার ভোর থেকে একটি অনধিকার দরগা ভাঙার কাজ শুরু হলে এলাকায় উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। পৌরসভার নির্দেশিকা পাওয়ার পর প্রশাসনের তরফে মাঝরাত থেকেই দরগা উচ্ছেদ অভিযানের প্রস্তুতি নেওয়া হয়। কিন্তু তাতেও ঠেকানো যায়নি অশান্তি।
ঘটনার সূত্রপাত হয় প্রায় রাত দেড়টা নাগাদ। অভিযোগ, মাঝরাতে দরগা এলাকায় একত্রিত হওয়া একদল উত্তেজিত জনতা পুলিশ ও প্রশাসনিক আধিকারিকদের দিকে পাথর ছুঁড়তে শুরু করে। আচমকা এই হামলায় চারজন অফিসার সহ প্রায় মোট ১১ জন পুলিশকর্মী আহত হন। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশকে কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটাতে হয় এবং বেশ কয়েকজনকে আটকও করা হয়।
আরও পড়ুন: নবজাতক পাচার হলে হাসপাতালের লাইসেন্স বাতিলের রায় সুপ্রিম কোর্টের
প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বুধবার ভোর সাড়ে পাঁচটা থেকে দরগা উচ্ছেদের কাজ শুরু হয়। আগের রাতেই ধর্মীয় রীতি মেনে জায়গাটি খালি করার কাজ শেষ করা হয়। সকাল থেকেই অতিরিক্ত পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়। এলাকাজুড়ে চাপা উত্তেজনা থাকলেও আপাতত সেখানে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ রয়েছে বলে খবর। এখনও পর্যন্ত দরগার প্রায় ৯০ শতাংশ কাঠামো ভেঙে ফেলা হয়েছে। বুলডোজারের সাহায্যে চলছে ধ্বংসাবশেষ সরানোর কাজ।
এই বিষয়ে নাসিক মহানগরপালিকা জানিয়েছে, সাতপীর দরগা নামে পরিচিত এই ধর্মীয় স্থান দীর্ঘদিন ধরেই অনধিকারভাবে নির্মিত ছিল। হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলির দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বিষয়টি উচ্চ আদালত পর্যন্ত পৌঁছয়। এদিকে দরগা ট্রাস্ট এই নির্মাণের সুনির্দিষ্ট কোনও প্রমাণ দিতে ব্যর্থ হওয়ায় আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী পৌরসভা ১৫ দিনের মধ্যে এই দরগা ভাঙার নির্দেশ দেয়। সেই অনুযায়ী এই অভিযান চালানো হয়।
দেখুন আরও খবর: