দিল্লি: করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সেন্ট্রাল ড্রাগ কন্ট্রোল অর্গানাইজেশনের গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপে সায় দিল আইসিএমআর। টিকার কার্যকারিতা বাড়াতে দেশে তৈরি করোনা ভাইরাসের দুটি টিকা কোভিশিল্ড ও কোভ্যাকসিনের মিশ্রণ নিয়ে গবেষণায় ফলাফল ভালো মিলছে বলে মনে জানিয়েছে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ। ইতিমধ্যেই ৩০০ জন সেচ্ছাসেবিকে টিকার নয়া মিশ্রণ গ্রহণ করার জন্য নির্বাচন করা হয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ভ্যাকসিন নিয়েও করোনা আক্রান্ত হওয়া ঘটনা ঘটছে। এর জেরে ভ্যাকসিনের কার্যকারীতা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। করোনার ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট বিভিন্ন দেশ কাঁপাচ্ছে। এই পরস্থিতিতে ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা নিয়ে একটি রিপোর্ট পেশ করেছে আইসিএমআর।
আরও পড়ুন: বিস্ফোরণের হুমকি ইমেল আল-কায়েদার, নিরাপত্তা আঁটোসাটে দিল্লি বিমানবন্দরে
গবেষণায় উঠে এসেছে , কোভিশিল্ড ও কোভ্যাকসিনের মিশ্রিত ডোজ ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের ক্ষেত্রে অনেক বেশী কার্যকারী। ইতিমধ্যেই ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে কোভিশিল্ড ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ দেওয়ার পর গ্রহীতাকে দ্বিতীয় ডোজে কোভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। তবে ওই ব্যক্তির শারীরিক পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। আইসিএমআর-এর বক্তব্য, আলাদা দুটি টিকার মিশ্রণ সম্পূর্ণ নিরাপদ। রোগ প্রতিরোধে দুটি ভিন্ন অ্যাডিনোভাইরাস ভেক্টর প্লাটফর্ম নির্ভর ভ্যাকসিন ও একটি ইনঅ্যাক্টিভেটেড হোল ভাইরাস ভ্যাকসিনের পর পর প্রয়োগ অনেকটাই কার্যকারী হবে। এদিকে বাজারে ক্রমশ প্রভাব বিস্তার করছে মডার্না, ফাইজার, স্পুটনিক ভি-এর মতো ভ্যাকসিন। সংস্থার দাবি, তাদের একটি ডোজই করোনার ডেল্টা ও ডেল্টা প্লাস ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে শক্তিশালী। কৌতুহলের অবসান ঘটিয়ে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ জানিয়েছে, ভারতে তৈরি করোনার দুটি টিকার মিশ্রণ সমানভাবে কার্যকারী। ভারতের দ্বিতীয় ঢেউয়ের পর এবার তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। টিকাকরণ প্রক্রিয়া শেষ করতে সবরকম ব্যবস্থা গ্রহণ করছে সরকার। দুটি টিকার মিশ্রণ সেই কাজে অনেক বেশী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে।