ওয়েবডেস্ক: বর্তমান সময় সোশ্যাল মিডিয়ার (Social Media) যুগ। দেশে-বিদেশে কিছু ঘটনা ঘটলেই তা সমাজ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া নতুন কোনও ঘটনা নয়। এই মুহূর্তে গোটা দেশই কাশ্মীরে (Kashmir) জঙ্গিহানার (Militant Attack) কাণ্ডকে ঘিরে ক্রোধের আগুনে জ্বলছে। কাশ্মীর (Kashmir) আবহে নিরাপত্তার স্বার্থে দেশের সমস্ত সংবাদমাধ্যম (Media) ও চ্যানেলগুলিকে (News Channels) কড়া বার্তা দিল কেন্দ্র তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক (Union Ministry of Information and Broadcasting) । প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা বাহিনীর গতিবিধির সরাসরি সম্প্রচার থেকে সংবাদমাধ্যমে বিরত থাকার নির্দেশ দিল মন্ত্রক।
কাশ্মীর ইস্যুতে ভারত ও পাকিস্তান দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে দেশের সমস্ত মিডিয়া চ্যানেলগুলিকে নিরাপত্তা সম্পর্কিত কার্যক্রম সম্পর্কিত বিষয় প্রকাশ করার সময় সর্বোচ্চ দায়িত্ব পালন এবং বিদ্যমান আইন ও বিধিনিষেধ কঠোরভাবে মেনে চলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: প্রতিটি ভারতবাসীর রক্ত ফুটছে, ‘কঠোর জবাব দেবে ভারত’, ‘মন কি বাত’ থেকে হুঙ্কার প্রধানমন্ত্রীর
এই নির্দেশিকায় প্রতিরক্ষা অভিযান বা সেনার গতিবিধি সম্পর্কিত ‘উৎস-ভিত্তিক’ তথ্যের উপর রিয়েল টাইম কভারেজ ও ভিজ্যুয়াল প্রচার বা প্রতিবেদন করার থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এই ধরনের সংবেদনশীল তথ্য প্রকাশ শত্রুপক্ষকে সহায়তা করতে পারে। সেনাকর্মীদের নিরাপত্তা বিঘ্নিত করতে পারে।
নির্দেশিকা মন্ত্রকের তরফ থেকে কার্গিল যুদ্ধ এবং মুম্বই জঙ্গি হামলা-সহ অতীতের বেশ কয়েকটি ঘটনার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সেখানে লাগামছাড়া মিডিয়া কভারেজের কারণে জাতীয় নিরাপত্তা প্রতিকূলতার মধ্যে পড়তে হয়েছিল।
আগেই মন্ত্রক সমস্ত টিভি চ্যানেলকে কেবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক (সংশোধন) বিধি, ২০২১ এর নিয়ম ৬(১)(পি) মেনে চলার জন্য পরামর্শ জারি করেছে। নিয়ম ৬(১)(পি) অনুযায়ী, কেবল পরিষেবায় এমন কোনও অনুষ্ঠান প্রচার করা উচিত নয় যেখানে নিরাপত্তা বাহিনীর সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানের সরাসরি সম্পর্ক রয়েছে। যেখানে মিডিয়া কভারেজ যথাযথ সরকার কর্তৃক মনোনীত একজন কর্মকর্তার মাধ্যমে ব্রিফিংয়ের মধ্যে সীমাব্ধ থাকবে, যতক্ষণ না এই ধরনের অভিযান শেষ হয়।
জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষায় গণমাধ্যম, ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম এবং সংশ্লিষ্ট কর্মীরা একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই দেশের স্বার্থে, দেশের নিরাপত্তা ও সেনার সুরক্ষার স্বার্থের প্রচারে অধিক সচেতন থাকা নৈতিক দায়িত্ব।
দেখুন অন্য খবর: