নয়াদিল্লি: অনুপ্রবেশ সমস্যা ভারতে নতুন নয়। স্বাধীনতার পর থেকেই যা নিয়ে অনেক জটিলতা চলছে। পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলিতে এই সমস্যা বেশি। আর গত কয়েক বছরে রোহিঙ্গাদের কারণে সেই সমস্যা আরও বড় আকার নিয়েছে। যার বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।
আরও পড়ুন- আইপ্যাক সদস্যদের মুক্ত করতে আসরে রাজ্যের ২ মন্ত্রী
গত এক দশক ধরে রোহিঙাদের নিয়ে সমস্যা শুরু হয়েছে মায়ানমারে। ওই দেশের সেনাবাহিনী রোহিঙ্গা উপজাতিদের উপরে হামলা চালালে তারা দেশান্তরিত হতে শুরু করে। রোহীংগাদের একটা বড় অংশ প্রবেশ করেছে বাংলাদেশে। সেই সঙ্গে আরও অনেকে উত্তর পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলিতেও প্রবেশ করেছে। বাংলাদেশ থেকেও অনেক রোহিঙ্গা ভারতে প্রবেশ করেছে।
আরও পড়ুন- মুকুলের PAC চেয়ারম্যানের পদ বাতিলের দাবিতে জনস্বার্থ মামলা
২০১৭ সাল থেকে ভারতে এই নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। রোহিঙ্গারা জাতীয় নিরাপত্তার জন্য ক্ষতিকারক বলে দাবি করে কেন্দ্র। রোহিঙ্গাদের সঙ্গে অনেক জঙ্গি ভারতে প্রবেশ করেছে বলেও দাবি করা হয় গোয়েন্দা রিপোর্টে। সেই সময়ের হিসেব অনুসারে ভারতে ৪০ লক্ষ রোহিঙ্গা প্রবেশ করেছে বলেও জানানো হয় সরকারিভাবে। এরপরে নাগরিকত্ব আইন নিয়ে বিতর্ক শুরু হলে কেন্দ্র রোহিঙ্গা সমস্যাকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে।
আরও পড়ুন- অসম-মিজোরাম সংঘর্ষের জন্য কংগ্রেসকে দুষছেন হিমন্ত
এই নিয়েই মঙ্গলবার ফের আলোচনা হয়েছে সংসদের নিম্ন কক্ষে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের পক্ষ থেকে সংসদে লিখিত আকারে জানানো হয়েছে যে মায়ানমার থেকে যে সকল অনুপ্রবেশকারীরা ভারতে প্রবেশ করছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য রাজ্যগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কোন কোন রাজ্যকে ওই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তাও জানিয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। মণিপুর, মিজোরাম, অরুণাচল প্রদেশ এবং নাগাল্যান্ডের রাজ্য সরকারকে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে, সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন(CAA) এবার বড় সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্র। মঙ্গলবার সংসদের নিম্নকক্ষে তা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের পক্ষ থেকে। সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে এখনই কার্যকর করা হচ্ছে না নয়া নাগরিকত্ব আইন। যাবতীয় নিয়ম এবং বিধি প্রস্তুত করতে আরও ছয় মাস সময় চেয়েছে কেন্দ্র।
আরও পড়ুন- আগামী মাসে রাজ্যে খুলতে চলেছে আরও এক জুটমিল
ওই আইন নিয়ে সংসদে প্রশ্ন করেছিলেন কংগ্রেস সাংসদ গৌরব গগৈ। যার জবাব দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই। তিনি জানিয়েছেন যে নাগরিকত্ব আইনের বিধিনিষেধ প্রস্তুত করতে আরও কিছুটা সময় লাগবে। সেই কারণে আগামী বছরের জানুয়ারি মাসের ৯তারিখ পর্যন্ত সময় চেয়ে সংসদের দুই কক্ষে আবেদন জানিয়েছে অমিত শাহের নেতৃতাধীন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক।