ওয়েব ডেস্ক: আবারও সঙ্কটে দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা (National Security)। মাওবাদীদের (Maoists) হাত থেকে রক্ষা পেল না বিস্ফোরক (Explosives) ভর্তি ট্রাক। একদিকে যখন কেন্দ্রীয় সরকার দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে জোরদার করতে নয়া নির্দেশ জারি করছে, সেই আবহেই বুধবার ওড়িশার রাউরকেল্লায় বিস্ফোরক বোঝাই ট্রাক লুট করল মাওবাদীরা। জানা গিয়েছে, ট্রাকটিতে দেড় টন বিস্ফোরক ভর্তি ছিল। এই ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই ওড়িশা (Odisha) এবং ঝাড়খণ্ড (Jharkhand) সীমানায় হাই অ্যালার্ট (High Alert) জারি করা হয়েছে।
সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, বিস্ফোরক ভর্তি ওই ট্রাকটি রাউরকেল্লার কেবলাঙ্গ থানা এলাকা থেকে বাঙ্কো এলাকার পাথরের খাদানের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিল। মাওবাদীর (Maoists) দল মাঝপথেই চলন্ত ট্রাকটিকে দাঁড় করিয়ে ড্রাইভারকে অপহরণ করে। অন্যদিকে, জবরন সারন্ডার ঘন জঙ্গলের দিকে ট্রাকটিকে নিয়ে যায় তারা। এদিকে ছত্তিশগড়, ঝাড়খণ্ড, ওড়িশা ও মহারাষ্ট্রে কেন্দ্রীয় বাহিনী এখনও মাওবাদী দমন অভিযানে তৎপর। একের পর এক বড়সড় অপারেশন চলছে এই রাজ্যগুলিতে, যার ফলে বহু শীর্ষস্থানীয় মাওবাদী নেতা প্রাণ হারিয়েছে।
আরও পড়ুন: কোণঠাসা হবে পাকিস্তান! ‘সুদর্শন চক্র’র সমতুল্য অস্ত্র বানাচ্ছে ভারত
সম্প্রতি ছত্তিশগড়ের অবুঝমাড় এলাকায় যৌথবাহিনীর একটি অভিযানে নিহত হয়েছেন কমিউনিস্ট পার্টি অফ ইন্ডিয়া (মাওবাদী)-এর সাধারণ সম্পাদক নামবালা কেশব রাও ওরফে বাসবরাজ। এই অভিযানে সাফল্যকে মাওবাদী দমন নীতির এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে দেখছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। ছত্তিশগড় পুলিশের ডিরেক্টর জেনারেল আরকে বীজ জানান, “বাসবরাজ ছিলেন একজন প্রভাবশালী মাওবাদী নেতা।
অন্ধ্রপ্রদেশের এক প্রাক্তন ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্র বাসবরাজ ২০১৮ সালে গণপতির স্থলাভিষিক্ত হয়েছিলেন। তিনি সংগঠনের রাজনৈতিক রূপরেখাকে অস্ত্রধারী সংগ্রামের পথে পরিচালিত করেছিলেন। তিনি কেবলমাত্র কাগজে-কলমে নেতার ভূমিকায় ছিলেন না, বাস্তবেও দেশের অন্যতম শক্তিশালী উগ্রপন্থী সংগঠনের শীর্ষস্থানে ছিলেন।” তিনি আরও বলেন, “যে ব্যক্তি এতটা সুরক্ষিত পরিবেশে চলাফেরা করতেন, যাঁর চারপাশে সবসময় ৬০-৭০ জন সশস্ত্র রক্ষী থাকত, তাঁকে টার্গেট করে সফলভাবে অভিযান চালানো আমাদের গোয়েন্দা সংস্থার দক্ষতা প্রমাণ করে। এই ঘটনার প্রভাব মাওবাদী ক্যাডারদের মধ্যে পড়েছে এবং আত্মসমর্পণের সংখ্যা বাড়তে পারে।”
দেখুন অন্য খবর