ওয়েব ডেস্ক: ছত্তিশগড় (Chhhattisgarh) জুড়ে লাগাতার চলছে মাওবিরোধী অভিযান। আর যৌথ বাহিনীর এই অভিযানে আপাতত কার্যত কোণঠাসা মাওবাদীরা (Maoist)। তাই শেষমেষ শান্তির পথে হাঁটার সিদ্ধান্ত নিল নকশালপন্থীরা। একের পর এক শীর্ষ কমান্ডারের মৃত্যু, ব্যাপক হারে মাওবাদীদের গ্রেফতার এবং আত্মসমর্পণের জেরে মাওবাদী সংগঠনগুলির ভিত নড়িয়ে গিয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে শান্তি আলোচনার উদ্দেশ্যে এক মাসের যুদ্ধবিরতির (Ceasefire) আবেদন জানাল মাওবাদীদের উত্তর-পশ্চিম সাব-জোনাল ব্যুরো।
গত ১৭ এপ্রিল একটি লিখিত বিবৃতি প্রকাশ করে মাওবাদীরা জানিয়েছে, সরকারের সঙ্গে শান্তিপূর্ণ আলোচনার পথ খুলে দিতে এক মাসের যুদ্ধবিরতি প্রয়োজন। চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, “অভিযানের নামে চলা হত্যাকাণ্ড বন্ধ করে সমস্যার স্থায়ী সমাধানে গুরুত্ব দেওয়া উচিত। শুধুমাত্র আলোচনার মাধ্যমেই তা সম্ভব।”
আরও পড়ুন: আবার ভূমিকম্প! কাঁপল কাশ্মীর, দিল্লি সহ একাধিক এলাকা
এর আগে ৮ এপ্রিলও যুদ্ধবিরতির অনুরোধ জানিয়ে মাওবাদীরা একটি চিঠি প্রকাশ করেছিল। সরকারের তরফে সেই চিঠির প্রেক্ষিতে সদর্থক প্রতিক্রিয়া মেলায় দ্বিতীয় চিঠিতে তারা আরও স্পষ্টভাবে নিজেদের অবস্থান ব্যাখ্যা করেছে। মাওবাদীরা দাবি করেছে, নিরাপত্তা বাহিনীর লাগাতার অভিযানের ফলে বিভিন্ন জোনাল কমান্ডারদের সঙ্গে যোগাযোগ সম্ভব হচ্ছে না। বহু মাও নেতা নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে প্রাণ হারিয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে মানবাধিকার সংগঠনগুলিকেও বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করার অনুরোধ জানিয়েছে মাওবাদীরা।
প্রসঙ্গত, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ আগেই ঘোষণা করেছেন, ২০২৬ সালের মার্চের মধ্যে ভারতকে মাওবাদমুক্ত করা হবে। তাই ছত্তিশগড়ে বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই মাওবিরোধী অভিযান আরও জোরদার হয়েছে। ২০২৪ সালে শুধুমাত্র বস্তার অঞ্চলে ২৮৭ জন মাওবাদীর মৃত্যু হয়েছে, গ্রেফতার হয়েছে এক হাজারেরও বেশি, আত্মসমর্পণ করেছেন ৮৩৭ জন। চলতি বছরের প্রথম তিন মাসেই মৃত্যু হয়েছে আরও ১৩০ জন মাওবাদীর।
দেখুন আরও খবর: