ওয়েবডেস্ক: কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অমিত শাহের (Amit Shah) হুঙ্কার, ২০২৬-এর মধ্যে মাওবাদী মুক্ত দেশ হবে ভারত। তার পর থেকেই লাগাতার অভিযান শুরু করেছে নিরাপত্তাবাহিনী।
বোকারো (Bokaro) জেলার লালপানিয়া এলাকার লুগু পাহাড়ে নিরাপত্তাবাহিনীর (security forces) সঙ্গে মাওবাদী সংঘর্ষ হয়। গুলি বিনিময়ে নিহত হয়েছে ৮ মাওবাদী। নিহতদের মধ্যে রয়েছে সিপিআই (মাওবাদী)-এর কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য প্রয়াগ মাঞ্জি, তার মাথার দাম ছিল ১ কোটি। সোমবার ভোর সাড়ে পাঁচটা নাগাদ গুলির লড়াই শুরু হয়। নিহতদের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। এই প্রয়াগ মাঞ্জি (Prayag Manji) , একাধিক ছদ্মনামে পরিচিত ছিল। তার মধ্যে হচ্ছে ‘বিবেক দা’, ‘ফুচনা’, ‘নাগো মাঞ্জি’ ও ‘করন দা’।
বিগত কয়েকমাস ধরে এই মাও নেতা গিরিডি ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকায় কর্মকাণ্ড চালাচ্ছিলেন। ঝাড়খণ্ড, বিহার, ছত্তিশগড় ও ওড়িশার ১০০-র বেশি মামলায় ওয়ান্টেড ।
আরও পড়ুন: চোখে লঙ্কার গুঁড়ো, হাত পা বেঁধে ধারালো অস্ত্রের কোপ! খুন কর্নাটকের প্রাক্তন ডিজিপি
সিআরপিএফ-এর (CRPF) ২০৯ কোবরা ব্যাটালিয়ন ও ঝাড়খণ্ড পুলিশের যৌথ অভিযানে এই গুলির লড়াই শুরু হয়। সেই গুলির লড়াইতে নিহত এই মাও নেতা। ঘটনাস্থল থেকে একটি এসএলআর ও একটি ইনসাস রাইফেল উদ্ধার করা হয়েছে।
চলতি বছর ঝাড়খণ্ডে এ নিয়ে মোট ১৩ জন মাওবাদী নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে নিহত হলেন।
ঝাড়খণ্ডের ডিজিপি জানিয়েছেন, বোকারো এনকাউন্টারে নিহত হয়েছেন আট মাওবাদী। তাদের মূল পাণ্ডা নাম ছিল বিবেক। যার মাথার দাম ছিল ১ কোটি। সিআরপিএফের তরফে জানানো হয়েছে, বোকারোর এনকাউন্টারে মোট ৮ জন মাওবাদীর দেহ উদ্ধার হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে একটি একে সিরিজের রাইফেল, একটি এসএলআর, তিনটি ইনসাস রাইফেল, একটি পিস্তল ও আটটি দেশি ভারমার রাইফেল উদ্ধার করা হয়েছে। জওয়ানদের কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। বর্তমানে গোলাগুলি বন্ধ হয়েছে।
অনেকদিন ধরেই এই বিবেক নিরাপত্তাবাহিনীর নজরে ছিল। বিবেক ছাড়াও অন্যান্যদের মধ্যে রয়েছে সাহেব সাহেব রাম মাঝি ও অরবিন্দ যাদব। ঝাড়খণ্ডের ডিজিপি জানিয়েছেন, এর আগে নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর বেশ কয়েকটি বড় হামলার সঙ্গে জড়িত ছিল এই বিবেক। মাও সংগঠনে উচ্চপদস্থ নেতা ছিলেন বিবেক। ঝাড়খণ্ড সহ একাধিক রাজ্যে এই নেতাকে খুঁজে দেওয়ার জন্য পুরস্কার করা হয়েছিল। অবশেষে নিরাপত্তাকর্মীর অভিযানে খতম হল এই মাও নেতা।
দেখুন অন্য খবর: