পাটনা: নীতি ভুলে কংগ্রেসের হাত ধিরেছেন সিপিআই নেতা কানহাইয়া কুমার। যা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে জাতিয় রাজনীতির অন্দরে। বিজেপি বিরোধী এই যুবনেতার বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন সিপিআই নেতৃত্ব। সেই একই সুর শোনা গেল বিহারের মন্ত্রী মঙ্গল পাণ্ডের গলায়।
বিহারের বাসিন্দা কানহাইয়া কুমার দিল্লির জহরলাল বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া ছিলেন। সেই ছাত্র রাজনীতি থেকেই তাঁর উত্থান। ২০১৯ সালের লকসভা নির্বাচনে বিহারের বেগুসরাই থেকে বামেদের প্রার্থী হয়েছিলেন তিনি। বিজেপির হেভিওয়েট প্রার্থী প্রবীন রাজনীতিবিদ গিররাজ সিং-এর বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলেন কানহাইয়া। যদিও পরাস্ত হতে হয়েছিল তাঁকে।
সেই স্মৃতি ফিরিয়ে কংগ্রেসের নয়া সদস্যকে আক্রমণ করেছেন এনডিএ শাসিত বিহারের মন্ত্রী তথা বিজেপি বিধায়ক মঙ্গল পাণ্ডে। কানহাইয়াকে ঘুরিয়ে ‘লোভী’ বলেও কটাক্ষ করেছেন তিনি। বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমারের মন্ত্রিসভার সদস্য বলেছেন, “অনেক আগেই কানহাইয়া কুমারের মতাদর্শকে প্রত্যাখান করেছে বেগুসরাইয়ের ভোটাররা। এখন নিজের লক্ষ্য চরিতার্থ করতে দল এবং মতাদর্শ বদল করেছেন কানহাইয়া। কিন্তু মানুষ কখনই একজন লোভী মানুষকে ভোট দেবে না।”
মঙ্গল পাণ্ডে
রাজনৈতিক ক্ষমতার লোভ রয়েছে বলেই সিপিআই ছেড়ে কানহাইয়া কংগ্রেসে নাম লিখিয়েছেন বলে দাবি করেছেন মঙ্গল পাণ্ডে। যদিও এতে কংগ্রেস বা কানহাইয়া কেউই লাভবান হবে না বলে দাবি করেছেন তিনি। বিহারের মন্ত্রীর কথায়, “কানহাইয়া এমন একটা পার্টিতে নাম লিখিয়েছে যাদের বিহারের মানুষ প্রত্যাখান করেছে এবং এখন তারা ডুবন্ত জাহাজ।” ডুবন্ত জাহাজ কংগ্রেসকে বাঁচাতেই দলবদল করেছেন বলে দাবি করেছেন কানহাইয়া।
ডি রাজা এবং কানহাইয়া কুমার
মঙ্গলবার কানহাইয়া কুমারের কংগ্রেসে যোগদানের পর সিপিআই-এর সাধারণ সম্পাদক ডি রাজা বলেন, কানহাইয়া কুমার পার্টির প্রতি বিশ্বাসী ছিলেন না৷’ তিনি আরও বলেন, ‘কানহাইয়া কুমার নিজেকেই পার্টি থেকে বহিষ্কার করেছেন৷ সে পার্টির প্রতি বিশ্বাসী ছিলেন না৷ তাঁর আসার বহু আগে দল ছিল৷ কানহাইয়া ছাড়া আগামীতে দল চলবে৷’ সেই সঙ্গে তিনি আরও বলেছেন, ‘‘কানহাইয়া আমাদের জাতীয় কর্মসমিতির সবচেয়ে কমবয়সি সদস্য। কানহাইয়া কুমার পার্টির সম্পদ।’’