কলকাতা: জোট দুরস্ত। কংগ্রেসের বিরুদ্ধে আরও সুর চড়ালেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একতরফে যে জোট হবে না, তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন মমতা। এর আগে দলীয় মুখপত্র ‘জাগোবাংলা’য় এবং গোয়ায় গিয়েও কংগ্রেসের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী। তাঁর বক্তব্য, বিজেপির বিরুদ্ধে ধারাবাহিক ভাবে কোনও লড়াই করেনি সনিয়া গান্ধীর দল। উপর উপর বিরোধিতা হয়েছে। আর পিছনে সমঝোতা।
কংগ্রেস চেয়ারপার্সন সনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধী এবং তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মধ্যে শেষ বৈঠক হয়েছিল ২৮ জুলাই। নয়াদিল্লির ১০ জনপথে ওই বৈঠক হওয়ার আগেই কমল নাথের মতো সনিয়ার ঘনিষ্ঠরা মমতার সঙ্গে আলাদা করে কথা বলেন। জাতীয় স্তরের অবিজেপি দলগুলি (এনসিপি, ডিএমকে, শিবসেনা, তৃণমূল কংগ্রেস) বিজেপি বিরোধী লড়াইয়ের রোডম্যাপ কী হবে, তা নিয়ে আলোচনা করে।
আরও পড়ুন: সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছে, ৭ বছর ধরে শুধুই হারছে, গোয়ায় দাঁড়িয়ে কংগ্রেসকে বিঁধলেন মমতা
১০ জনপথের বৈঠকের পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাফ জানিয়ে দেন, বিজেপি বিরোধী জোটের মুখ তিনি নন। বরং মানুষই ঠিক করে দেবে, মুখ কে হবে। কিন্তু তিনমাস কেটে যাওয়ার পরেও বিজেপি বিরোধী ছাতার তলায় কারা কারা আসবে, তার স্পষ্ট ধারনা তৈরি হয়নি। দলীয় মুখপত্র ‘জাগোবাংলা’র একের পর এক সম্পাদকীয়তে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে গিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস।
.@INCIndia's present leadership is BJP's BIGGEST insurance!
In WB, we've been fighting & successfully defeating BJP since 2001. Instead of accusing others INC should put its house in order to effectively fight BJP or let others who've the will & ability to fight them nationally. https://t.co/z4Hn0Hzv2r
— All India Trinamool Congress (@AITCofficial) November 1, 2021
তৃণমূল কংগ্রেসের বক্তব্য, কংগ্রেসকে অতীত থেকে শিক্ষা নিতে হবে। পুরনো ভুল থেকে শিক্ষা নিতে হবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন তৃণমূল কংগ্রেসই একমাত্র বিজপিকে রুখে দিয়েছেন। সোমবার কালীপুজোর উদ্বোধনের পর মমতার গলায় সেই আক্রমণের সুর। ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে এ রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে প্রার্থী দেবে কংগ্রেস। তৃণমূল সুপ্রিমোর বক্তব্যে সে কথা স্পষ্ট।
আরও পড়ুন: বিজেপিকে কী করে হারাতে হয় দেখিয়েছে তৃণমূল, কংগ্রেসকে আক্রমণ ‘জাগোবাংলা’য়
মমতা বলেন, বাংলায় আমাদের বিরুদ্ধে লড়বে আর বাইরে আমাদের সমর্থন চাইবেন, এটা হতে পারে না। নরেন্দ্র মোদি ক্ষমতায় আসার পর কংগ্রেস ধারাবাহিক ভাবে আন্দোলন করেনি। তাই আমাদের বিভিন্ন রাজ্যে যেতে হচ্ছে।