ওয়েব ডেস্ক: ১৭ বছর আগে ঘটে যাওয়া মালেগাঁও বিস্ফোরণ (Malegaon Blast) মামলায় প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ সাধ্বী প্রজ্ঞা সিং ঠাকুর (Pragya Singh Thakur) এবং প্রাক্তন সেনা কর্নেল শ্রীকান্ত প্রসাদ পুরোহিত (Lieutenant Colonel Shrikant Prasad Purohit) সহ সাত অভিযুক্তের ফাঁসির দাবি জানাল তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ (National Investigation Agency)। ইতিমধ্যেই এই মামলার শুনানি শেষ হয়েছে। মুম্বইয়ের বিশেষ আদালত আগামী ৮ মে মালেগাঁও বিস্ফোরণ মামলার রায় ঘোষণা করতে চলেছে বলে খবর।
এই মামলার প্রেক্ষিতে এনআইএ-র জমা দেওয়া প্রায় দেড় হাজার পাতার চূড়ান্ত রিপোর্টে ইউএপিএ-র ১৬ এবং ১৮ ধারার সঙ্গে ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা গঠন করা হয়েছে। ধারাগুলির মধ্যে রয়েছে ১২০ বি (ষড়যন্ত্র), ৩০২ (খুন), ৩০৭ (খুনের চেষ্টা), ৩২৬ (গুরুতর আঘাত), ও একাধিক রাষ্ট্রদ্রোহ সংক্রান্ত ধারা। মোট ২৯১ জন সাক্ষীর বয়ান এই মামলায় আদালতে পেশ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বারামুলা, উধমপুরের পর এবার বান্দিপুরা! জঙ্গল ঘিরে চিরুনি তল্লাশি ভারতীয় সেনার
উল্লেখ্য, ২০০৮ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর রাতে এক ভয়াবহ বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে মহারাষ্ট্রের মালেগাঁও শহর। ঘটনায় মৃত্যু হয় ছ’জন সাধারণ মানুষের, আহত হন শতাধিক। বিস্ফোরণের পর তদন্তে নামে মহারাষ্ট্র পুলিশের সন্ত্রাসদমন শাখা, যার নেতৃত্বে ছিলেন হেমন্ত করকরে। পরে মুম্বই হামলায় শহিদ হন করকরে। ২০১১ সালে মামলার তদন্তভার যায় এনআইএ-র হাতে।
তদন্তকারীদের দাবি, বিস্ফোরণের নেপথ্যে ছিল ‘অভিনব ভারত’ নামে একটি উগ্রপন্থী সংগঠন, যার সঙ্গে অভিযুক্তদের সরাসরি যোগাযোগ ছিল। এই সংগঠন তৈরি করে নাশকতার ছক কষার অভিযোগ উঠেছে সাধ্বী প্রজ্ঞা, কর্নেল পুরোহিত, মেজর রমেশ উপাধ্যায়, অজয় রোহিরকর, সমীর কুলকার্নি, স্বামী দয়ানন্দ পাণ্ডে এবং সুধাকর চতুর্বেদীর বিরুদ্ধে। যদিও অভিযুক্তরা শুরু থেকেই নিজেদের নির্দোষ দাবি করে আসছেন এবং পুরো মামলাকে একটি ‘রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র’ বলেই বর্ণনা করেছেন। তবে এনআইএ এবার কোনও রকম ছাড় দিতে রাজি নয়।
দেখুন আরও খবর: