কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: জগন্নাথদেবের রথযাত্রার দিনই শপথের প্রস্তুতি নিচ্ছে বিজেপি। বৃহস্পতিবারই দুপুর ৩টে নাগাদ মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল ভগৎ সিং কোশিয়ারির সঙ্গে দেখা করতে পারেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবীশ। রাজ্যপালের কাছে প্রায় ১৭০ জন বিধায়কের সমর্থন দেখিয়ে সরকার গঠনের দাবি জানাতে ফড়নবীশ। তাঁর সঙ্গে থাকতে পারেন একনাথ শিন্ডেও। কারণ, ইতিমধ্যেই তিনি গোয়ার হোটেলে সহযোদ্ধাদের রেখে একা মুম্বই ফিরেছেন। তাঁর শিবিরের বিধায়কদের নিয়ে এদিন সকালেই বিশেষ বৈঠকে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা করেন। তারপরই একটি বিশেষ বিমানে মুম্বইয়ে পা রাখেন শিন্ডে। সে কারণেই অনেকের অনুমান, ফড়নবীশের সঙ্গে শিন্ডেও রাজ্যপালের কাছে যেতে পারেন। তা না-হলেও অন্তত এদিনই বিজেপি নেতৃত্বের সঙ্গে সরকার গঠন ও দফতর বণ্টন নিয়ে আলোচনা হতে পারে দু’পক্ষে।
আরও পড়ুন: Maharashtra Political Crisis: আজই বিজেপি-শিন্ডে গোষ্ঠীর পৃথক কৌশল বৈঠক, দফতর নিয়ে দর কষাকষি
২৮৮ সদস্য বিশিষ্ট মহারাষ্ট্র বিধানসভায় বিজেপিই একক সংখ্যাগরিষ্ঠ দল। বিজেপির একার বিধায়ক রয়েছেন ১০৬ জন। উদ্ধব ঠাকরে, যাঁকে পিছন থেকে ছুরি মারা হয়েছে বলে দাবি করেছেন শিবসেনা নেতা সঞ্জয় রাউত, সেই উদ্ধবের পতনের পর ফড়নবীশই সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের নেতা। সেই হিসেবে তিনি সরকার গঠনের দাবি জানাতেই পারেন। এবার তিনি মুখ্যমন্ত্রী হলে রাজ্যে তৃতীয়বারের জন্য তখতে বসবেন ফড়নবীশ। প্রথমবার মুখ্যমন্ত্রী ২০১৪ সালে এবং দ্বিতীয়বার ২০১৯ সালে মাত্র তিনদিনের জন্য।
শিবসেনা মুখপাত্র তথা সাংসদ সঞ্জয় রাউত শিন্ডে গোষ্ঠীকে পিছন থেকে ছুরি মারার অভিযোগ তুললেও বিদ্রোহীদের বিধায়ক দীপক কেসরকর বলেছেন, উদ্ধবজির বিরুদ্ধে কিংবা শিবসেনা নেতৃত্বের বিরুদ্ধে আমাদের কোনও ক্ষোভ নেই। আমরা তাঁর বিরুদ্ধে বিক্ষুব্ধ হইনি। এটা নীতি-আদর্শের প্রশ্ন। আমরা সেই পথে লড়াই করি। এখনও উদ্ধবজির প্রতি আমাদের ভালোবাসা রয়েছে। আমাদের পিছন থেকেই লড়াই করতে হয়েছে, কারণ এ লড়াই ছিল কংগ্রেস এবং পাওয়ারের বিরুদ্ধে।