বেঙ্গালুরু: হোটেলে নিয়ে গিয়ে ছাত্রকে ধর্ষণের কারণে শ্রীঘরে যেতে হল এক মাদ্রাসা শিক্ষককে। আদালতে অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। ১১ বছরের কারাবাস এবং ৩০ হাজার টাকা জরিমানা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আদালতের পক্ষ থেকে।
আরও পড়ুন- বিধানসভা নির্বাচনের কংগ্রেস প্রার্থী ১০ হাজার সমর্থক নিয়ে যোগ দিলেন তৃণমূলে
ঘটনাটি দক্ষিণ ভারতের রাজ্য কর্ণাটকের। ওই রাজ্যের টুমাকুরু জেলার আমালাপুর গ্রামের মাদ্রাসায় ২০১৫ সালে শিক্ষকতা করতে গিয়েছিল মুশারফ। সেই সময়ে ওই মাদ্রাসার পড়ুয়া এক ছাত্রের উপরে যৌন নির্যাতন চলায় সে। অভিযুক্ত মুশারফের বাড়ি উত্তরপ্রদেশে। তার বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতন ছাড়াও একাধিক অভিযোগে মামলা রুজু হয়েছিল। ছয় বছর পরে সেই অপরাধের সাজা ঘোষণা করেছে আদালত।
আরও পড়ুন- বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টে পেগাসাস শুনানি, এবার পরঞ্জয় গুহ ঠাকুরতা যাচ্ছেন শীর্ষ আদালতে
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে যে অভিযুক্ত মুশারফ ২০১৫ সালের ১৭ এপ্রিল বাড়ি ফেরার ট্রেনের টিকিট কাটতে যায় মাদ্রাসা শিক্ষক মুশারফ। সেই সময়ে এক ছাত্রকে সঙ্গে নিয়ে স্টেশনে গিয়েছিল সে। কারণ কর্ণাটকের কন্নড় ভাষা সম্পর্ক সে অবগত ছিল না। তাই টিকিট কাটতে গিয়ে যাতে ভাষার সমস্যা না হয় সেই কারণেই ওই ছাত্রকে সঙ্গে নিয়েছিল সে। আর সেই সময়েই ঘটে ওই অঘটন।
আরও পড়ুন- সিপিএম-কে ফ্যাসিট বলে আক্রমণ দেবাংশুর, পালটা জবাব শতরূপের
টিকিট কেটে ফেরার সময় শিক্ষক ছাত্রকে জানায় যে তার বাইকের তেল ফুরিয়ে গিয়েছে। সেই কারণে এখন গাড়ি আর চলবেনা। তাই স্টেশন সংলগ্ন একটি হোটেলে থাকার প্রস্তাব দেয় শিক্ষক। আর সেই হোটেলেই ওই ছাত্রের উপরে যৌন নির্যাতন করে মাদ্রাসা শিক্ষক। সেই সময়ে ছেলেটির বয়স ছিল ১৩ বছর। বিষয়টি চেপে গিয়েছিল সে। দিন দুই পরে তার মা মাদ্রাসায় গিয়েছিলেন ছেলেকে দেখতে। সেই সময়েই ছেলের অস্বাভাবিক আচরণ দেখে সন্দেহ হয় তাঁর।
প্রতীকী ছবি
মায়ের কাছে আর লুকিয়ে রাখতে পারেনি নিজের প্রতিকূলতার কথা। সব কিছু খুলে বলে সে। তখনই চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া হয় ওই কিশোরকে। নির্যাতনের বিষয়টি নিশ্চিত হতেই পুলিশের কাছে দায়ের করা হয় লিখিত অভিযোগ। সেই মামলার রায় ঘোষণা হয়েছে ছয় বছর পরে। অভিযুক্তের ১১ বছরের কারাবাস এবং ৩০ হাজার টাকা জরিমানার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। সেই সঙ্গে নির্যাতিত ছেলেটিকে জেলা পাঁচ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য জেলাপ্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।