লুধিয়ানা: ২৩ ডিসেম্বর, পঞ্জাবের লুধিয়ানা জেলা আদালতে বিস্ফোরণে (Ludhiana Court Blast) কমপক্ষে ২ থেকে ৩ কেজি আরডিএক্স (রয়াল ডেমোলিশন এক্সপ্লোসিভ) ব্যবহার করা হয়েছিল। পঞ্জাব পুলিসের ফরেন্সিক রিপোর্টে এমনটাই দাবি করা হয়েছে। রিপোর্টে আরও বলা হয়, বিস্ফোরণের (Ludhiana Court Blast) তীব্রতায় শৌচালয়ের পাইপ ফেটে বিস্ফোরকের অনেকটাই ধুয়ে বেরিয়ে যায়।
বৃহস্পতিবার, ২৩ ডিসেম্বর লুধিয়ানার জেলা ও দায়রা আদালতে বিস্ফোরণে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়। জখম হয় আরও অন্তত ৬ জন। পঞ্জাব পুলিসের প্রাথমিক তদন্তে দাবি করা হয়, লুধিয়ানা বিস্ফোরণে পাকিস্তানের মদতপুষ্ট খালিস্তানি জঙ্গি বব্বর খালসার হাত রয়েছে।
পঞ্জাব পুলিসের সঙ্গেই এই বিস্ফোরণের তদন্ত করছে ন্যাশনাল সিকিওরিটি গার্ড। এনআইএ-র বিশেষজ্ঞ টিমও আসছে। তদন্তে দাবি করা হয়, নিহত ব্যক্তিই শৌচালয়ে বিস্ফোরক রাখতে গিয়েছিলেন। কোনও ভাবে বিস্ফোরণ ঘটে যায়। গগনদীপ সিং নামে ওই ব্যক্তিকে মানববোমা হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছিল কি না, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: Ludhiana Court Blast: লুধিয়ানা আদালতে বিস্ফোরণের নেপথ্যে পঞ্জাব পুলিসেরই প্রাক্তন হেড কনস্টেবল!
ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা জানান, গগনদীপের মোবাইল ফোনটিতেও বিস্ফোরণ ঘটে। তার সঙ্গে একটি ডঙ্গলও লাগানো ছিল। ইন্টারনেট সংযোগের জন্য ওই ডঙ্গলটি লাগানো হয়েছিল। এনআইএ-র তদন্তকারীরা মনে করছেন, বিচার বিভাগকেই টার্গেট করা হয়েছিল। কী ভাবে শৌচাগারে বিস্ফোরক লাগাতে হবে, সেই সম্পর্কে অনলাইনে কেউ গগনদীপকে পরামর্শ দিচ্ছিল। তা করতে গিয়েই বিস্ফোরণ ঘটে যায়।
নিহত গগনদীপকে তাঁর হাতের ট্যাটু ও মোবাইল সিমের সূত্র ধরে শনাক্ত করে পুলিস। জানা যায়, পঞ্জাব পুলিসের হেড কনস্টেবল হিসেবে একসময় কাজ করেছেন। মাদক মামলায় জড়িয়ে পড়ায় ২০১৯ সালে তাঁকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: Santa Claus Burnt: আগ্রায় সান্তাক্লজের কুশপুতুলে আগুন বজরং দলের
লুধিয়ানা আদালতে বিস্ফোরণ আগে পাঠানকোর্টের আর্মি গেট ও নওয়ানশহরের এক থানায় গ্রেনেড ছোড়ার ঘটনাও ঘটেছে। পঞ্জাবে ভোটের আগে এ ধরনের বিক্ষিপ্ত ঘটনা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবেই ঘটনা হচ্ছে বলে মনে করছে প্রশাসন। পঞ্জাব সরকার ইতিমধ্যে সতর্কতা জারি করেছে।