নয়াদিল্লি: লোকসভায় (Lok Sobha) পাশ হয়ে গেল অভিবাসন ও বিদেশি বিল ২০২৫ (Immigration and Foreigners Bill 2025) । বৃহস্পতিবার ভারতের অভিবাসন আইন আধুনিকীকরণ ও একীভূতকরণ প্রস্তাবিত আইনের উপর আলোচনার পর লোকসভায় পাশ হয় এই বিল। আর সংসদ থেকেই রোহিঙ্গা ইস্যুতে (Rohingya issue) সুর চড়ালেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের পক্ষে ওই মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই বিলটি উত্থাপন করেন।
বিলটির উপর তিন ঘণ্টা ধরে আলোচনা হয়। শাহ এদিন বলেন, ভারতে যারা পর্যটক হয়ে কিংবা শিক্ষার জন্য আসবেন দেশ তাদের জন্য সব সময় স্বাগত জানাতে প্রস্তুত। চিকিৎসা ও ব্যবসা করাতে এলেও এদেশ আপনাকে অভ্যর্থনা জানাবে। কিন্তু কোনও খারাপ উদ্দেশ্য নিয়ে দেশে এলে তাদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে। রোহিঙ্গা ইস্যুতে সরব হয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দেশ ধর্মশালা নয়।
আরও পড়ুন: ৩০ এপ্রিল শুরু কেদারনাথ যাত্রা, ইউ টিউবার ও সোশ্যাল মিডিয়ার কন্টেন্ট ক্রিয়েটারদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা
লোকসভায় বিলটি পাশ হওয়ার আগে শাহ বলেন, “প্রস্তাবিত বিলটি খারাপ উদ্দেশ্য নিয়ে এদেশে আসা ব্যক্তিদের চিহ্নিত করতেও সহায়তা করবে। বিলটি আইনে পরিণত হওয়ার পর, ভারতে অবৈধ অভিবাসন মোকাবিলায় সাহায্য করবে। সেইসঙ্গে যারা মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যাওয়ার পরেও এদেশে আছেন তাদের গতিবিধি উপর নজর চালানো হবে।
বিতর্কের মাঝে শাহ বলেন, অভিবাসন বিল খুব গুরুত্বপূর্ণ। এটি প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে বিভিন্ন বিষয়ের সঙ্গে জড়িত। বিলটি ভারতে আসা প্রত্যেকের উপর নিবিড় নজরদারি সুনিশ্চিত করবে। কে ভারতে আসছেন, কেন আসছেন, কতদিন থাকছেন, কি প্রয়োজনে আসছে সব পরিষ্কার বোঝা যাবে। ভারতে আসা প্রতিটি বিদেশি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য থাকা খুব জরুরি।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দাবি, “নিরাপত্তার দৃষ্টিকোণ থেকে, এই আইন মাদক কারবার, অনুপ্রবেশ বন্ধে, অস্ত্র চোরাচালানকারী এবং যারা ভারতের অর্থনীতিকে অর্থনীতিতে ধবংস করতে চায়, তাদের বিরুদ্ধে এটি একটি কঠোর পদক্ষেপ।
এই আইনের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় সরকার, বিদেশিদের ঘন ঘন আসা-যাওয়ার স্থানগুলির উপর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করতে পারবে।
বিদেশি এবং অভিবাসনের সঙ্গে সম্পর্কিত বিষয়গুলি বর্তমানে চারটি আইনের মাধ্যমে পরিচালিত হয় – পাসপোর্ট (ভারতে প্রবেশ) আইন, ১৯২০; বিদেশীদের নিবন্ধন আইন, ১৯৩৯; বিদেশি আইন, ১৯৪৬ এবং অভিবাসন (বাহকদের দায়বদ্ধতা) আইন, ২০০০। এই সমস্ত আইন এখন বাতিল করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
অভিবাসন ও বিদেশি বিল, ২০২৫-এ সরলীকরণ এবং সমন্বয়ের পরে বাতিল করার প্রস্তাবিত চারটি আইনের বেশ কয়েকটি বিদ্যমান বিধান রয়েছে, তবে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিধান সংযোজন করা হয়েছে।
দেশের অর্থনীতি, উৎপাদন, ব্যবসা, শিক্ষা ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করতে এবং ২০৪৭ সালের মধ্যে ভারতকে বিশ্বের শীর্ষস্থানে নিয়ে যেতে এই বিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দাবি করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
দেখুন অন্য খবর: