নয়াদিল্লি: লোকসভায় পাস হয়ে গেল ভোটার কার্ডের সঙ্গে আধার কার্ড সংযুক্তিকরণের বিল৷ ধ্বনি ভোটের মাধ্যমে সোমবার এই বিল পাস হয়৷ কেন্দ্রীয় আইন ও বিচারবিভাগীয় মন্ত্রী কিরেন রিজিজু এই বিল উত্থাপন করেন৷ সংখ্যাগরিষ্ঠার নিরিখে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার ধ্বনি ভোটে বিল পাস করিয়ে নিলেও বিরোধীদের একটা বড় অংশ এই বিলের বিরোধিতা করে৷ রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলের প্রতিনিধিরা এই বিলের বিরোধিতা করেন৷ তৃণমূলের দাবি, কেন্দ্রের আনা বিল সুপ্রিম কোর্টে নির্দেশ বিরুদ্ধ৷
দেশের ভোট-প্রক্রিয়ায় বেশ কিছু সংশোধনী আনতে চাইছে কেন্দ্র। নির্বাচন কমিশনের সুপারিশ মেনেই এই সংশোধনী বিল এনেছে কেন্দ্র। ভোট-ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করতে, মজবুত করতে সব মিলিয়ে এই সংশোধনী এসেছে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকার। ভোটদান ব্যবস্থাকে আরও স্বচ্ছ করতে এই সংশোধনী বলে কেন্দ্র জানিয়েছে।
Pushed in the name of 'reforms', there are many concerns that this can lead to mass disenfranchisement, increase voter fraud, & could violate people’s right to privacy by enabling voter-profiling through the linkage of data sets, & impede the guarantee of secrecy of the ballot pic.twitter.com/62llU74wd2
— Jan Sarokar – People's Agenda (@jan_sarokar) December 20, 2021
নতুন এই সংশোধনীতে নির্বাচন কমিশনকে আরও বেশি ক্ষমতা দেওয়া হচ্ছে। নতুন সংশোধনীতে প্যান এবং আধার কার্ড লিংক করার মতই, ভোটার কার্ডের সঙ্গে আধার কার্ডের লিংক করিয়ে নেওয়ার সুযোগ থাকছে। অর্থাৎ নতুন নিয়মে একবার নাম নথিভুক্ত হয়ে গেলে আধার কার্ডের মাধ্যমেও ভোট দিতে পারবেন দেশের নাগরিকরা। তবে নাগরিকদের গোপনীয়তা রক্ষার যে অধিকার আছে তাতে হস্তক্ষেপ করা হবে না। কোনও নাগরিক নিজে থেকে চাইলেই একমাত্র তাঁর আধার কার্ড এবং ভোটার কার্ড লিংক করানোর ব্যবস্থা করা হবে।
আরও পড়ুন-ইডির দীর্ঘ জিজ্ঞেসাবাদের মুখে ঐশ্বর্য রাই বচ্চন
নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে এ নিয়ে পাইলট প্রকল্প ইতিমধ্যেই প্রাথমিক কাজ সেরে ফেলেছে। এবং তাতে সাফল্যও পাওয়া গিয়েছে বলে কমিশনের দাবি। ২০২২, পয়লা জানুয়ারি থেকে নতুন ভোটাররা (যাঁদের বয়স আঠারো) তাঁদের নাম এ ভাবে নথিভুক্ত করার সুযোগ পাবেন। বছরে চার বার চারটি আলাদা আলাদা তারিখে নাম নথিভুক্ত করার ব্যবস্থা করা হবে।
যে কোনও এলাকার যে কোনও প্রতিষ্ঠান বা ভবনেই ভোটগ্রহণের ব্যবস্থা করতে পারবে নির্বাচন কমিশন। সংশোধনীতে আরও ক্ষমতা দেওয়া হচ্ছে কমিশনকে। কেননা এর আগে কোনও স্কুল বিল্ডিং বা কোনও গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানে ভোট পরিচালনা করতে গিয়ে বাধার মুখে পড়তে হয়েছে কমিশনকে।