নয়াদিল্লি: ফের দুর্ঘটনার কবলে রেল (Rail)। দিল্লির (Delhi) প্রগতি ময়দানের কাছে লাইনচ্যুত (Derailed) হয় একটি লোকাল ট্রেন। ঘটনার জেরে ক্ষতিগ্রস্ত একটি বগি। তবে কেউ আহত বা হতাহত হননি। এদিকে, দুর্ঘটনার পর থেকে ওই শাখায় ব্যাহত হয় ট্রেন চলাচল। তাই বাকি ট্রেনগুলিকে অন্য রুট দিয়ে গন্তব্যে পাঠানো হচ্ছে। তবে কী কারণে ওই কামরা লাইনচ্যুত হয় তা এখনও জানা যায়নি। রেলের তরফে জানানো হয়েছে, কেন এই ঘটনা ঘটেছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
জানা গিয়েছে, রবিবার সকাল পালওয়াল থেকে নয়াদিল্লি যাচ্ছি এই লোকাল ট্রেনটি। ৭.৫৫ নাগাদ নির্দিষ্ট সময়ে সেটি পালওয়াল থেকে নয়াদিল্লি্র উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। ট্রেনটির বল্লভগড়, ফরিদাবাদ, তুঘলকাবাদ, ওখলা, হজরত নিজামুদ্দিন, তিলক সেতু, শিবাজি সেতু হয়ে নয়াদিল্লি রেলওয়ে স্টেশনে পৌঁছনোর কথা ছিল। কিন্তু, সকাল ৯.৪৭ নাগাদ প্রগতি ময়দানের কাছে ট্রেনটি লাইনচ্যুত হয়ে যায়। এই ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি বলেও জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন:যাদবপুরে আসছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুর কমিশন
রেলের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, সব যাত্রীই সুরক্ষিত আছেন। দুর্ঘটনার পরেই সেখানে যান আধিকারিক এবং রেল কর্মীরা। ওই ট্রেনের লাইনচ্যুত কামরাকে বিচ্ছিন্ন করে ট্রেনের বাকি অংশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। ওই লাইন থেকে কামরাটিকে সরিয়ে ট্রেন চলাচল আবার স্বাভাবিক করার কাজ চলছে। তবে, দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ কী, তা তদন্তের পরই জানা যাবে।
প্রসঙ্গত, ওড়িশার বালেশ্বরে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় রেলের তিন আধিকারিকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। মর্মান্তিক ট্রেন দুর্ঘটনার তদন্তে নেমে সিবিআইয়ের তদন্ত আধিকারিকরা রেলের সিনিয়র সেকশন ইঞ্জিনিয়ার অরুণ কুমার মোহান্ত, সেকশন ইঞ্জিনিয়ার আমির খান ও টেকনিশিয়ান পাপ্পু কুমারকে গ্রেফতার করে। বালেশ্বরেই এই তিন আধিকারিকের পোস্টিং ছিল। এবার ওই তিন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করা হয়েছে। শনিবার ওই চার্জ শিট পেশ করা হয়। তাঁদের বিরুদ্ধে অনিচ্ছাকৃত হত্যা এবং প্রমাণ লোপাটের অভিযোগ করছে সিবিআই। জানা গিয়েছে, ভুবনেশ্বরের বিশেষ সিবিআই আদালতে এই মামলার চার্জশিট পেশ করেছে সিবিআই। অনিচ্ছাকৃত হত্যা এবং প্রমাণ লোপাটের পাশাপাশি রেলওয়ের আইনের ১৫৩ ধারাতেও অভিযুক্ত করা হয়েছে ওই তিনজনকে।