কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: দেশে এই প্রথম আদিবাসী জনজাতি গোষ্ঠীর কোনও প্রতিনিধি রাষ্ট্রপতি হতে চলেছেন। বড় কোনও অঘটন না ঘটলে এনডিএ প্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মুই রাষ্ট্রপতি হবেন। মঙ্গলবার ভোট হয়েছে। ফল প্রকাশ হবে বৃহস্পতিবার। জয়ের আগেই যখন দ্রৌপদীকে নিয়ে উচ্ছ্বাস চলছে এনডিএ শিবিরে, তখন নির্মম চিত্র ধরা পড়ল হবু রাষ্ট্রপতির নিজের জেলা ওডিশায় আদিবাসীদের চরম দারিদ্রের। আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকার মহিলা, পুরুষ, শিশুরা চূড়ান্ত অপুষ্টির শিকার। বিরোধীরা বলছেন, এটাই আসল ভারতবর্ষের ছবি। কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী প্রায়ই বলে থাকেন, ভারতে দুটি শ্রেণি আছে। বড়লোক এবং গরিব শ্রেণি। শাসকদল এই বড়লোক শ্রেণিরই প্রতিনিধিত্ব করে।
স্থানীয় সূত্রের খবর, ওডিশার ওই সব আদিবাসী এলাকায় মানুষের জীবনযাত্রা মুখ থুবড়ে পড়েছে। দুবেলা তো দূরের কথা, একবেলা খাবারের জোগাড় করতে গিয়েই আদিবাসীদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। মায়েরা হাড় জিরজিরে চেহারার সন্তানদের কোলে নিয়ে কোন সকালে খাবারের সন্ধানে বেরিয়ে পড়ে। কোনও দিন কিছু জোটে, অধিকাংশ দিনই কিছু জোটে না। অভুক্তই থাকতে হয় পরিবারের সকলকে। অপুষ্টিতে ভুগে অনেক শিশুর মৃত্যুও হচ্ছে ওই সব এলাকায়। বিরোধীদের অভিযোগ, এসবের দিকে কেন্দ্রীয় সরকারের কোনও নজরই নেই।
সম্প্রতি ওডিশার রায়গড় জেলার নিয়ামগিরি এলাকার একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে। সেখানে আদিবাসী মহিলারা বলছে, তারা আধার কার্ড কী জিনিস তাই জানে না। প্রায় কোনও পরিবারের সদস্যদেরই আধার কার্ড নেই। ফলে সরকারি সুযোগ সুবিধা থেকেও তারা বঞ্চিত। শিশুরা খেতে না পেরে অপুষ্টিজনিত নানা রোগে ভুগছে। বিরোধী নেতারা প্রশ্ন তুলছেন, দ্রৌপদী মুর্মু রাষ্ট্রপতি হলে কখনও তাঁর পা পড়বে তো এই সব এলাকায়? তিনি এই আদিবাসীদের দারিদ্র মোচনের চেষ্টা করবেন তো?