রাঁচি: বিধানসভায় রাখা যাবে না নমাজ পাঠের জন্য পৃথক ঘর। ঝাড়খণ্ড বিধানসভার স্পিকারের সিদ্ধান্ত নিয়ে গত কয়েক দিন ধরে শুরু হয়েছে বিতর্ক। যা নিয়ে শুরু থেকেই আপত্তি জানিয়েছে বিজেপি। পদ্ম শিবিরের কর্মীরা বিধানসভা চত্বরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করলে লাঠি চার্জ করে পুলিশ।
যা নিয়ে উত্তাল হয়ে উঠল ঝাড়খণ্ডের বিধানসভা। বিরোধী বিজেপি শিবিরের বিধায়কদের বিক্ষোভের কারণে ব্যাহত হল বিধানসভার স্বাভাবিক কাজকর্ম। বাধ্য হয়ে অধিবেশন মুলতুবি করে দিলেন স্পিকার। অন্তিম মুহূর্তে স্পিকার বলেন, “আমার ধৈর্যের পরীক্ষা নেবেন না। আপত্তি থাকলে নিয়ম মেনে তা জানান। আমি কেবল আপনাদের অনুরোধ করতে পারি।”
আরও পড়ুন- তেড়ে আসছে ভয়ঙ্কর সৌরঝড়, বিশ্বজুড়ে বন্ধ হতে পারে নেট পরিষেবা
মুসলিম বিধায়কদের কথা ভেবে বিধানসভার ভেতর একটি ঘর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে নমাজ (Namaz) পড়ার জন্য৷ সেই নিয়ে সোমবার থেকে তুলকালাম শুরু হয়েছে ঝাড়খণ্ডে (Jharkhand)৷ বিতর্কের জল গড়িয়েছে আদালত অবধি৷ স্পিকারের সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা করেছে বিজেপি (BJP)৷ দলের নেতাদের একাংশ তথাকথিত ধর্মনিরপেক্ষ বিরোধী নেতাদের খুঁজছেন৷ তাঁদের প্রশ্ন, সংসদে জয় শ্রীরাম স্লোগান দেওয়ার সময় ধর্মনিরপেক্ষ নেতারা রে রে করে তেড়ে এসেছিলেন৷ এবার কেন তাঁদের টিকি খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না?
ঝাড়খণ্ড বিধানসভা ভবন এবং নমাজ পাঠ
এই নমাজের জন্য ঘর নিয়ে গত সোমবার থেকেই বিতর্ক শুরু হয়েছে। বুধবার বিজেপি কর্মীরা বিধানসভা ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। সেই সময়েই পুলিশ লাঠি চার্জ করে। যার প্রতিবাদে এদিন অধিবেশন শুরুর আগে বিধানসভা চত্বরে ধর্নায় বসেন বিজেপির বিধায়কেরা।
আরও পড়ুন- আফগানিস্তানে সাধারণ মানুষের বিক্ষোভ নিষিদ্ধ করল তালিবান
রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ঝাড়খণ্ড হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে৷ পিটিশনে দাবি করা হয়েছে, এই সিদ্ধান্ত দেশের ধর্মনিরপেক্ষতায় আঘাত হানবে৷ সোমবার থেকে ঝাড়খণ্ডে শুরু হয়েছে বাদল অধিবেশন৷ অধিবেশন শুরুর আগে থেকে বিজেপি বিধায়করা প্রতিবাদ জানাতে শুরু করেন৷ বিধানসভায় প্রবেশের মুখে হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে বসে পড়েন৷ ওখানে বসেই ‘হনুমান চালিশা’ এবং ‘হরে রাম হরে কৃষ্ণ’ মন্ত্র পাঠ করেন তাঁরা৷ তার পর অধিবেশন শুরুর পর ওয়েলে নেমে ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান দিতে থাকেন৷ বিজেপি বিধায়কদের দাবি, হয় রাজ্য সরকারকে তাদের সিদ্ধান্ত থেকে পিছু হঠতে হবে৷ অথবা ‘নমাজ রুমের’ নাম বদলে ‘প্রার্থনা ঘর’ করতে হবে৷ বিজেপি বিধায়ক সিপি সিংয়ের কথায়, ‘আমার মতে বিধানসভা চত্বরে একটা সুবিশাল মন্দির থাকা উচিত৷’