ওয়েব ডেস্ক: কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হানার (Pahalgam Terror Attack) পরেই ফের খবরের শিরোনামে ২৬/১১ মুম্বই হামলার মূলচক্রী হাফিজ সইদের (Hafiz Saeed) নাম। এই হামলার দায় স্বীকার করা জঙ্গি সংগঠন ‘দ্য রেজিস্টেন্স ফ্রন্ট’-এর (The Resistance Front) নেপথ্যে রাষ্ট্রসংঘ ও আমেরিকার নিষিদ্ধ তালিকাভুক্ত এই জঙ্গি নেতাই রয়েছেন বলে আশঙ্কা করছেন গোয়ান্দারা। কারণ এই সংগঠন ‘লস্কর-ই-তইবা’র ছায়াসংগঠন বলেই পরিচিত। সাম্প্রতিক সময়ে উপত্যকায় লস্করের সরাসরি প্রভাব কমলেও, এই সংগঠনের ‘ছায়া-সন্ত্রাস’-এর নেপথ্যে হাফিজের মতো নেতাদের ভূমিকা থাকতে পারে বলে দাবি গোয়েন্দাদের।
গোয়ান্দাদের প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে, পাকিস্তান (Pakistan) থেকেই এই হামলার ছক কষা হয়েছিল। আর সেক্ষেত্রে হাফিজ সইদের পাশাপাশি তার অন্যতম সহযোগী সইফুল্লাও জড়িত থাকতে পারে। প্রযুক্তিগত সহায়তা ও পরিকাঠামো গড়ে তোলার ক্ষেত্রে হাফিজই মুখ্য ভূমিকা নিতে পারেন বলে অনুমান করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ‘তিন দশক ধরে আমেরিকার মদতে এই কাজ করছে পাকিস্তান’ বিরাট মন্তব্য পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রীর
গোয়েন্দা সূত্র অনুযায়ী, যে জঙ্গি মডিউলটি এই হামলার সঙ্গে জড়িত, তারা দীর্ঘদিন ধরেই জম্মু ও কাশ্মীর অঞ্চলে সক্রিয়। সোনমার্গ, বুটা পাথরি এবং গান্দেরওয়ালের সাম্প্রতিক হামলাগুলির সঙ্গেও এই গোষ্ঠীর যোগ রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের শেষদিক থেকেই উপত্যকায় এই ধরনের ছায়া-গোষ্ঠীগুলির প্রভাব বাড়তে শুরু করে। সেই সময় থেকেই হাফিজ সইদের সক্রিয় মদত ও প্রশিক্ষণ এই গোষ্ঠীগুলিকে আরও আত্মঘাতী করে তুলছে বলে গোয়েন্দাদের মত।
প্রসঙ্গত, ২০০৮ সালের মুম্বই হামলার (Mumbai Terror Attack 2008) পর থেকেই হাফিজ সইদ ভারতের মোস্ট ওয়ান্টেড তালিকায় রয়েছে। আমেরিকা তার মাথার দাম ধার্য করেছে এক কোটি ডলার। রাষ্ট্রসংঘও তাকে আন্তর্জাতিক জঙ্গি হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। তবু সব কিছু সত্ত্বেও পাকিস্তানেই নিশ্চিন্তে রয়েছে সে। এমনকি, সে দেশের নির্বাচনে অংশ নেওয়ার চেষ্টার কথাও শোনা গিয়েছিল কয়েক বছর আগে।
দেখুন আরও খবর: