পটনা: পশুখাদ্য কেলেঙ্কারি মামলায় বড় ধাক্কা খেলেন আরজেডি সুপ্রিমো লালুপ্রসাদ যাদব। লালু যাদবকে ৫ বছরের জেল এবং ৬০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। তাঁর আইনজীবী উচ্চ আদালতে যাবেন বলে জানিয়েছেন।
এই ঘটনার পরে বিহারে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়েছে। উদ্বেগজনক পরিস্থিতি বিহারের জেহানাবাদে। কেমখাদুমপুরের থানার সামনের রাস্তায় বিক্ষোভ। রাস্তার দু’পাশে ভিড় আর তুমুল হট্টগোল শুরু হয়েছে।
এদিকে লালু যাদবের জেলে যাওয়া নিয়ে নীতীশ কুমারের কটূক্তি, ‘‘আমরা মামলাও করিনি। যাঁরা মামলা করেছেন তাঁদের অনেকেই আজকাল তাঁর (লালুর) সঙ্গে রয়েছেন।’’
আরজেডি নেতা তথা লালু প্রসাদ যাদবের ছেল তেজস্বী যাদব বলেন, ‘‘লালুজি যদি বিজেপির সঙ্গে হাত মেলাতেন তাহলে তাঁকে রাজা হরিশচন্দ্র বলা হত৷ কিন্তু তিনি আরএসএস-বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করছেন৷ তাই তাঁকে কারাদণ্ড দেওয়া হচ্ছে। আমরা এতে ভয় পাব না৷’’
তেজস্বী যাদবের অভিযোগ, পশুখাদ্য কেলেঙ্কারি ছাড়া দেশে কোনো কেলেঙ্কারি হয়নি বলে মনে হয়। বিহারে প্রায় ৮০টি কেলেঙ্কারি হয়েছে৷ কিন্তু সিবিআই, ইডি, এনআইএ কোথায়? দেশে কেলেঙ্কারি আর নেতা একজনই। সিবিআই বিজয় মাল্য, নীরব মোদী, মেহুল চোকসিকে ভুলে গেছে৷’’
আরও পড়ুন- Air India New CEO: ইলকার আয়সির হাতে এয়ার ইন্ডিয়ার দায়িত্ব দিল টাটা
শীর্ষ আদালতে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তেজস্বী যাদব৷ তিনি বলেন, ‘‘আদালতের রায় নিয়ে কোনো মন্তব্য করব না। এটাই শেষ বিচার নয়। হাইকোর্ট, সুপ্রিম কোর্ট আছে। আমরা উচ্চ আদালতে এটিকে চ্যালেঞ্জ করেছি এবং আমরা আশাবাদী যে নিম্ন আদালতের রায় হাইকোর্টে পরিবর্তিত হবে৷’’
তিনি একই সঙ্গে প্রশ্ন তোলেন, কেন সৃজন কেলেঙ্কারিতে মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি? যিনি পশুখাদ্য কেলেঙ্কারির তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন, তাঁকে জেলে পাঠানো হয়েছে।”
এই প্রথম নয়, এর আগেও চার বার পশুখাদ্য কেলেঙ্কারি মামলায় দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে তাঁকে। পঞ্চম মামলায় (5th Fodder Scam Case) আরজেডি সুপ্রিমো লালু যাদবকে ১৩৯.৩৫ কোটি টাকা জালিয়াতির অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করা হয়।