কাচে মোড়া কামরা। যেদিকেই তাকাবেন দেখতে পাবেন প্রকৃতির অপরূপ দৃশ্য। স্বচ্ছ কাচের ছাদ দিয়েও দেখা যাবে নীল আকাশ। দু’পাশে থাকা জানলা দিয়ে বাইরে তাকালেই চোখে পড়বে নদী, উপত্যকা, জলপ্রপাত। অনাবিল এই সৌন্দর্য উপভোগ করতে চাইলে আজই চড়ে বসুন মুম্বই-পুণে ডেকান এক্সপ্রেসে ভিস্তা ডোম কোচে।
আরও পড়ুন: নবান্নের প্যাড জালিয়াতি করে অবসরপ্রাপ্ত বিএসএফ নিয়োগ
শনিবার কোঙ্কন রেলওয়ের মুম্বই-পুণে ডেকান এক্সপ্রেসে একটি ভিস্তা ডোম কামরা চালু হল। বাতানুকুল এই কোচটির জানলা সাধারণ ট্রেনের জানলার তুলনায় অনেকটাই বড়। কামরার প্রতিটি আসনকে ইচ্ছামতো ৩৬০ ডিগ্রি কোণে ঘোরানো যায় এবং পুশব্যাক সুবিধা আছে। ছাদও স্বচ্ছও কাচের। অর্থাৎ এই কোচে সওয়ার হয়ে যে দিকেই তাকাবেন, প্রাকৃতিক দৃশ্য উপভোগ করতে পারবেন।
কোঙ্কন রেলওয়ে সূত্রে খবর, শুধুমাত্র কনফার্ম টিকিট থাকলেই এই ট্রেন চড়া যাবে। ভিস্তা ডোম কোচে ৪৪টি সিট রয়েছে। এই কোচের বুকিং ২৪ জুন থেকে চালু হয়েছে। করোনা-বিধি মেনে এই কোচে সফর করতে পারবেন পর্যটকরা। আইআরসিটিসির অফিসিয়াল ওয়েবসাইট ও রেলের কাউন্টার থেকে টিকিট কাটা যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: রাগের মাথায় এ কী করলেন পায়েল?
দিন কয়েক আগে রেলমন্ত্রী পীযূষ গয়াল মুম্বই-পুনে ডেকান এক্সপ্রেসে ভিস্তা ডোম কোচ চালু হওয়ার কথা জানান। ০১০০৭ ডেকান এক্সপ্রেস প্রতিদিন সকাল ৭টায় ছত্রপতি শিবাজী মহারাজ টার্মিনাস স্টেশন থেকে ছাড়বে। সকাল ১১টা ৫-এ পুনে পৌঁছাবে। আবার ফিরতি পথে দুপুর ৩টে ১৫-তে পুণে ছেড়ে সন্ধ্যা ৭টা ৫-এ মুম্বই পৌঁছাবে।
মুম্বই-পুনে ডেকান এক্সপ্রেসে মোট ১৫টি কামরা রয়েছে। একটি ভিস্তা ডোম কামরা ছাড়াও ১০টি দ্বিতীয় শ্রেণির সিটিং কোচ, ৩টি বাতানুকুল সিটিং কোচ এবং একটি দ্বিতীয় শ্রেণির সিটিং কোচ কাম গার্ড ব্রেক ভ্যান রয়েছে।
আরও পড়ুন: জ্যাকসন স্মরণে টাইগার
পর্যটকদের কথা ভেবেই স্বচ্ছ কাচের ভিস্তা ডোম কামরা প্রথম চালু হয়েছিল উত্তরাখণ্ডের কালকা-সিমলা রুটের টয়ট্রেনে। এরপর ভারতের বেশকিছু রুটের টয়ট্রেনেও চালু হয়েছে এই কোচ। তেলেঙ্গনার বিশাখাপত্তনম থেকে জগদলপুরগামী কিরণডুল এক্সপ্রেসের একটি কোচও ভিস্তা ডোম প্রকৃতির। ভারতের বিভিন্ন পাহাড়ি অঞ্চলে পর্যটক বৃদ্ধি করাই এই কোচের মূল উদ্দেশ্য।