গুয়াহাটি: অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মাকে (Himanta Biswa Sarma ) শান্তি আলোচনার প্রস্তাব দিলেন কামতাপুরী লিবারেশন অরগানাইজেশন (KLO)-এর প্রধান জীবন সিংহ (Jibon Singha)। হিমন্তের সঙ্গে ইতিমধ্যে কথা হয়েছে জীবন সিংহের। অসম সরকারের একটি সূত্রে খবর, খুব শিগগির কেএলও প্রধানের সঙ্গে শান্তি বৈঠকে(peace talks) বসবেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী। অসম ও বাংলার কয়েক’টি জেলা নিয়ে পৃথক কামতাপুর রাজ্য গঠনের দাবি কেএলও-র দীর্ঘ দিনের। তার রাজনৈতিক সমাধান খুঁজতেই শান্তি আলোচনায় বসতে চাইছেন কেএলও প্রধান।
এই বৈঠকের খবর সামনে আসায় রাজনৈতিক মহলে যে প্রশ্ন উঠেছে, পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে উপেক্ষা করে আদৌ কি শান্তি আলোচনা সম্ভব? কারণ, কেএলও-র দাবিতে তো শুধু অসমের কয়েক’টি জেলা নেই, বাংলার বেশকিছু জেলাও রয়েছে। জীবন সিংহের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্রে খবর, বাংলা-অসম দুটোই ভারতের অংশ। তারা আগে অসম সরকারের সঙ্গেই কথা শুরু করতে চাইছেন। যদি অসমের মুখ্যমন্ত্রী মনে করেন, তিনি বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলবেন। গ্রেটার কোচবিহার নেতা অনন্ত মহারাজের সঙ্গেও যোগাযোগ রেখে চলছে কেএলও-র শীর্ষ নেতৃত্ব।
আরও পড়ুন:সংবিধান বদলাতে রাজ্যসভায় বিল বিজেপি সাংসদের, বিরোধীদের বাধায় ‘স্থগিত’
কিন্তু কেএলও-র শীর্ষ নেতৃত্ব বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে এই মুহূর্তে আলোচনায় আগ্রহী নয়। জীবন সিংহের ওই ঘনিষ্ঠ সূত্রের কথায়, বাংলার শাসকদল এতগুলো বছরেও তাদের সঙ্গে কথা বলার প্রয়োজন মনে করেনি। কেএলওকে পৃথক কামতাপুর রাজ্য গঠনে সাহায্য করুক পশ্চিমবঙ্গ সরকার। যদিও মুখ্যমন্ত্রী অনেক আগেই নিজের অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়েছেন। কিন্তু কিছুর বিনিময়ে বাংলাকে ভাগ হতে দেবেন না। কেএলও-র মতো বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তিকে তিনি কখনোই গুরুত্ব দেন না।
আরও পড়ুন:জাওয়াদ মোকাবিলায় রাজ্য সরকারের উচিৎ কেন্দ্রের সঙ্গে সমন্বয় বজায় রাখা, বললেন সুকান্ত
কোচবিহারের তৃণমূল নেতা পার্থপ্রতিম রায় এ বিষয়ে বলেন, কামতাপুর আন্দোলনের নামে উত্তরবঙ্গকে অশান্ত করার চেষ্টা হলে, তা কোনও ভাবেই বরদাস্ত করা হবে না। শাসকদলের এই নেতাকে কিছু দিনেই আগেই হুমকি দিয়েছিলেন জীবন সিংহ।
সূত্রের খবর, হিমন্তবিশ্ব শর্মার সঙ্গে জীবন সিংহের শান্তি বৈঠকের পিছনে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের তত্পরতা রয়েছে। তবে, এই বৈঠকে বসার শর্ত হিসেবে ৩৫০ কেএলও জঙ্গিকে আগে আত্মসমর্পণ করতে হবে।