নয়াদিল্লি: ২২ এপ্রিল পহেলগামের বৈসরন উপত্যকা পর্যটকদের রক্তে ভিডেছিল। এই জঙ্গি হামলার ঘটনায় ফুঁসছে গোটা দেশ। হামলার ৬ দিন পার, এখনও অধরা জঙ্গিরা। হামলার পর পর্যটকশূন্য হয়ে পড়েছে পহেলগাঁও (Pahalgaon Devoid Tourists)।রাস্তায় টহল দিচ্ছে নিরাপত্তা বাহিনী। বৈসরন ভ্যালি, বেতাব ভ্যালি যাওয়ার রাস্তা বন্ধ। ভরা মরশুমে ব্যবসা লাটে উঠেছে, ফাঁকা হোটেল। কাজ হারিয়েছেন প্রায় ৮০ শতাংশ হোটেলকর্মী। রোজগার নেই ট্যাক্সি চালক ও ঘোড়াওয়ালাদের। হামলার পর শ্রীনগরে বন্ধ দোকানপাট। দোকান বন্ধ করে কলকাতায় ফিরছেন ব্যবসায়ীরা। ডাল লেকে আসতে শুরু করেছেন পর্যটকরা।
পহেলগামকাণ্ডের কড়া জবাব দিয়েছে মোদি সরকার। ভারতের সামরিক হামলা আসন্ন। পরমাণু-অস্ত্রের আস্ফালনের মধ্যেই বলছেন পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রী। সেনাকে তৈরি থাকার নির্দেশ। ওএই ঘটনার সাতদিন পরও অধরা জঙ্গিরা। জঙ্গিদের স্কেচ সামনে আসলেও ধরা পড়েনি কেউই। কাশ্মীরে হত্যাকারী জঙ্গিদের খোঁজে অল আউট অ্যাকশনে সেনা। থমথমে পহেলগাম। হোটেলকর্মী জানাচ্ছেন, একেবারে জুন পর্যন্ত পুরো বুকিং ছিল। ২৩ তারিখ থেকেই সব বুকিং ক্যান্সেল হয়ে গিয়েছে। কার্যত অলিখিত কার্ফু জারি হয়েছে পহেলগামে। জঙ্গি হামলার পর থেকেই এই সমস্ত জায়গায় যাওয়ার রাস্তা বন্ধ। এক হোটেল মালিকের কথায়, “এটা আমাদের পিক সিজন। ..সমস্ত জায়গায় পর্যটকরা ভিড় করেন। কোথায় জায়গা পাওয়া যায় না। এই ঘটনার অঘোষিত লকডাউন হয়ে গেছে গোটা পহেলগাঁও জুড়ে। পর্যটকদের প্রথম পছন্দ পহেলগাঁও পর্যটকশূন্য়। শুধু পহেলগাঁওয়ে হাজারের বেশি হোটেল রয়েছে। ব্যবসা লাটে ওঠায় হোটেলগুলোতে প্রায় ৮০ শতাংশ কর্মীকে ছাঁটাই করা হয়েছে। রুজি-রোজগারে টান পড়েছে পহেলগাঁওয়ের ট্যাক্সি চালক ও ঘোড়াওয়ালাদের।
আরও পড়ুন: পহেলগামের ঘটনার সময় ধর্মীয় শব্দবন্ধ শোনা গিয়েছিল জিপলাইন অপারেটরের মুখে? তদন্তে এনআইএ
অন্য খবর দেখুন