কর্ণাটক: একফালি জমিতে চাষ করে ফসল তুলবেন ঘরে। অনেক আশা নিয়ে মহাজনের থেকে ঋণ নিয়েছিলেন কর্ণাটকের ইয়াদগির জেলার কৃষক ভীমারৈয়া সুরপুরা। জমির ফসল বেচে মহাজনকে ধার শোধ করে দেবেন তেমনই ভেবেছিলেন । কিন্তু যা ভাবনা, ফল ঠিক তার উল্টো হল। ফসল তো দূরের কথা, দিনের পর দিন ঋণের টাকা গলার ফাঁস হয়ে চেপে বসল। শেষ পর্যন্ত আর মানসিক চাপ ধরে রাখতে পারেননি। দুই শিশুকন্যা ও পুত্রকে নিয়ে কৃষক দম্পতি বেছে নিয়েছেন আত্মহত্যার পথ। দেনার দায়ে সন্তানদের নিয়ে পুকুরে ঝাঁপ দেয় দরিদ্র ওই কৃষক দম্পতি।
আরও পড়ুন ব্যবসায়ীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার
কেন্দ্রীয় সরকারের কৃষক সম্মাননিধি প্রকল্পে দেশজুড়ে কৃষকদের আর্থিক সহায়তা করা হয়। বিভিন্ন রাজ্যের তরফে কৃষক সহায়তায় রয়েছে একাধিক প্রকল্প।এরপরেও দেনার বোঝা মাথায় নিয়েই দিন কাটাচ্ছে কৃষক পরিবারগুলি। পুলিশ সূত্রের খবর, সোমবার দুপুরে গ্রামের একটি পুকুরে একই সঙ্গে ৬ জনের লাশ ভেসে উঠতে দেখা যায়।
আরও পড়ুন স্ত্রীর সঙ্গে বচসার জেরে আত্মঘাতী স্বামী
মর্মান্তিক ঘটনার খবর পেয়ে দেহগুলি উদ্ধার করে নিয়ে যায় পুলিশ। তদন্তকারীদের অনুমান, চাষের জন্য স্থানীয় মহাজনের কাছ থেকে বেশ কিছু টাকা ঋণ নেয় ভীমারৈয়া নামে ওই কৃষক। ফসল তুলে ঋণের টাকা শোধ করতে না পেরে সমস্যার মুখে পড়েন ওই কৃষক। ঋণের দায় কাটিয়ে উঠতে না পেরে এ দিন সকালে সপরিবারে পুকুরে ঝাঁপ দেন। প্রাথমিক ভাবে আত্মহত্যার মামলা দায়ের করলেও ঘটনার পিছনে কোনও ভাবে হুমকি বা প্ররোচনার অভিযোগ রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।