ওয়েব ডেস্ক: মানুষ নয়, বিড়ালের অপহরণ (Kidnap Of Cat)। আর সেই মামলা উঠেছিল হাইকোর্টে। কিন্তু এরকম ‘অদ্ভুত’ মামলার শুনানিতে শেষমেষ বিরক্ত হয়ে উঠলেন বিচারপতি। সম্প্রতি, কর্নাটক হাইকোর্টের (Karnataka High Court) বিচারপতি এম নাগপ্রসন্না মামলা শোনার পর বলেন, “ডেইজি (Daisy Case) নামক বিড়ালটি সবাইকে পাগল করে দিয়েছে। এমনকি আমাদের ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থাকেও সে পাগল করে ছেড়েছে।”
কিন্তু কী এও ‘কিম্ভুত’ মামলা? ২০২২ সালে এক মহিলা অভিযোগ করেন যে তাঁর পোষ্য বেড়াল ‘ডেইজি’-কে পাশের অ্যাপার্টমেন্টের এক ব্যক্তি অপহরণ করে রেখেছেন। পুলিশ বিষয়টি আমলে নিয়ে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৫০৪, ৫০৬ ও ৫০৯ ধারায় মামলা রুজু করে, যা ‘অপমান’, ‘হুমকি’ এবং ‘নারীর শালীনতায় আঘাত’ সংক্রান্ত অপরাধের মধ্যে পড়ে।
আরও পড়ুন: বেঙ্গালুরু কাণ্ডে হাইকোর্টের প্রশ্নের মুখে কর্নাটক সরকার
শুনানির সময় আসামী পক্ষের আইনজীবী বলেন যে, বিড়ালটি সহজে জানালা দিয়ে এক বাড়ি থেকে অন্য বাড়িতে যেতে পারে। তিনি দাবি করেন, ‘ডেইজি’ হয়তো নিজের ইচ্ছাতেই আসামির ঘরে ঢুকেছিল। সিসিটিভি ফুটেজেও দেখা গিয়েছে, ডেইজি একাধিক জানালার মধ্য দিয়ে চলাফেরা করছে।
এদিকে শুনানির সময় অভিযোগকারিণীও আদালতে হাজির হননি। তাই বিড়াল অপহরণের এই মামলাটিকে একটি ‘তুচ্ছ ও ভিত্তিহীন অভিযোগ’ হিসেবে বর্ণনা করে কর্নাটক হাইকোর্ট। বিচারপতি মন্তব্য করেন, “এটা আদালতের নীতিবোধ আঘাত। কীভাবে এমন একটি অভিযোগে পুলিশ মামলা রুজু করতে পারে, যেখানে কোনও অপরাধের ইঙ্গিতই নেই!” বিচারপতি আরও বলেন, “পুলিশ একটি গৃহপালিত প্রাণীর নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় নিজেদের ব্যস্ত রেখেছে, প্রতিবেশীদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছে, সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখেছে এবং শেষে কোনও অপরাধ না পেয়েও অভিযোগপত্র জমা দিয়েছে।” তাই মামলাটি খারিজ করেন বিচারপতি।
দেখুন আরও খবর: