বেঙ্গালুরু: দীর্ঘ কয়েক দশকে যা হয়নি এবার সেই সমস্যার সম্মুখীন অন্ধ্র প্রদেশের তিরুমালা ভেঙ্কটেশ্বর মন্দির (Venkateswara Temple, Tirumala)। তিরুমালা মন্দিরে ঘি সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে নন্দিনী ব্র্যান্ডের বিক্রেতা। কর্ণাটক মিল্ক ফেডারেশন (কেএমএফ), অন্ধ্র প্রদেশের তিরুমালা ভেঙ্কটেশ্বর মন্দিরে নন্দিনী ব্র্যান্ড নামে ঘি (Ghee) বিক্রি করে, দামের সমস্যা নিয়ে তার সরবরাহ বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। গত কয়েক দশক ধরে তিরুপতি দেবস্থানম এবং কেএমএফের মধ্যে সম্পর্ক রয়েছে। কেএমএফের তৈরি নন্দিনী নামের দেশি ঘি এই মন্দিরে মহাপ্রসাদ তৈরি করতে ব্যবহৃত হয়। মনে করা হচ্ছে প্রসাদ তৈরির ঘির সঙ্কট দেখা দেবে।
বালাজির মন্দির লক্ষ লক্ষ মানুষের বিশ্বাসের একটি বড় কেন্দ্র। যেখানে ভগবান বিষ্ণুর অবতার বলে বিবেচিত ভগবান শ্রী ভেঙ্কটেশ্বর স্বামী। ভগবান বিষ্ণুর অবতার বলেই বিবেচিত হন বালাজি। সারা দেশের দূরদূরান্ত থেকে মানুষ নিজের মঙ্গলকামনা পূরণের লক্ষ্যে এই মন্দিরের দর্শনে আসেন। শুধু তাই নয় দেশের সবচেয়ে ধনী মন্দিরের তালিকার শীর্ষে রয়েছে এই মন্দির। মহাপ্রসাদ খাঁটি ঘিয়ের লাড্ডুর জন্যও বিশ্বজুড়ে পরিচিত। এখানে আগত ভক্তদের ‘প্রসাদম’ বা নৈবেদ্যম হিসাবে দেওয়া হয়। লাড্ডু, যা তিরুপতি বালাজির মহাপ্রসাদ হিসাবে বিবেচিত হয়, খাঁটি বেসন, বোঁদে, চিনি, কাজু খাঁটি ঘি ইত্যাদির সাহায্যে প্রস্তুত করা হয়। এমনকি এই মন্দিুরের প্রসাদ পাওয়ার জন্য তিরুপতি বালাজির ভক্তরা শুধুমাত্র মন্দিরে যেতে না পারলে, দেশ ও বিদেশে তাদের অর্ডার করেন। এই প্রসাদ শুধু মাত্র কেএমএফের তৈরি নন্দিনী নামের দেশি ঘি দিয়েই তৈরি প্রস্তুত করা হয়ে থাকে। যা কয়েক দশকের রীতি। কিন্তু বর্তমানে প্রতিযোগিতামূলক বাজারে বাড়তি ছাড় দিয়ে ঘি সরবরাহ করতে প্রস্তুত নয়। কেএমএফ ঘি সরবরাহের জন্য টেন্ডার এড়িয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
আরও পড়ুন: ধর্মীয় শোভাযাত্রায় হামলা, মৃত ৪, শান্তি বজায় রাখার আবেদন খট্টরের
উল্লেখযোগ্যভাবে, কর্নাটক মিল্ক ফেডারেশন গত ছয় মাসে ১৪ লাখ টাকার ঘি এই দেবস্থানে সরবরাহ করেছে। কর্নাটক মিল্ক ফেডারেশন গত ৬ মাসে বিশেষ ভর্তুকি মূল্যে ১৪ লক্ষ কিলো ঘি তিরুপতি দেবস্থানে সরবরাহ করেছিল। কিন্তু এখন এই মন্দিরের জন্য আগের দরপত্রে কম দামে ঘি সরবরাহ করতে পারবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে। তাদের যুক্তি, কর্নাটকে দুধের দাম বেড়েছে। তাই তারা ঘিয়ের দামও বাড়িয়েছে। তাই কম দামের ঘি দাম কমানো যাচ্ছে না। আর যদি আগের দাম ঘি কমাতে হলে গুনমানের সঙ্গে আপস করতে হবে। এর প্রভাব মন্দিরের প্রসাদের ওপর পড়বে বলে মনে করছে ওই প্রস্তুতকারক সংস্থা।
কেএমএফ সভাপতিঅভিযোগ করছেন যে টিটিডি তাদের ঘি সরবরাহ করতে দেয়নি। কেএমএফের সভাপতির বক্তব্য সঠিক নয় আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই যে টিটিডি শুধুমাত্র ই-টেন্ডারের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সংগ্রহ করে। যেহেতু এটি একটি ই-বেন্ডার। আমরা এটি না খোলা পর্যন্ত অংশগ্রহণকারীদের চিনি না, রেডি বলেছেন।তিনি বলেন যে টিটিডি একটি সরকারী সংস্থা, দরপত্রের শর্ত এবং পদ্ধতি অনুসারে চুক্তিটি সর্বনিম্ন দরদাতাকে দেওয়া হয়।