ওয়েবডেস্ক- কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) হুঙ্কার দিয়েছেন, ২০২৬ এর মধ্য মাওবাদী মুক্ত দেশ হবে ভারত। সেইসঙ্গে যারা আত্মসমপর্ণ করতে ইচ্ছুক তাদের সরকারি প্যাকেজ দেওয়া হবে। কেন্দ্রের নির্দেশে পর থেকে জোরকদমে মাও দমন অভিযানে নিরাপত্তারক্ষী বাহিনী।
কারেগুট্টা মাও দমন অভিযানে (Karegutta anti-Maoist operation) ৩১ জন নকশালকে নিকেশ (Maoists killed) করেছে নিরাপত্তা বাহিনী। বীজাপুরের (Bijapur) এক সাংবাদিক বৈঠকে ছত্তিশগড় পুলিশ (Chhattisgarh Police) এবং সিআরপিএফ আধিকারিকরা (CRPF officers) এই তথ্য সামনে এনেছেন। এই বৈঠকে সিআরপিএফের ডিজি এবং ছত্তিশগড় রাজ্য পুলিশের ডিজি উপস্থিত ছিলেন। সাংবাদিক বৈঠকে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়, ১৬ দিনের এই অভিযানে ৩১ জন মাওবাদী নিকেশ হয়েছে।
আরও পড়ুন-কর্নেল কুরেশিকে নিয়ে কু-মন্তব্যে সুপ্রিম কোর্টেও ছাড় পেলেন না বিজেপি মন্ত্রী
এই অভিযানে ১ কোটি ৭২ লক্ষ টাকা পুরস্কার ঘোষিত মাওবাদীরা খতম হয়েছে। যার মধ্যে ২৮ জন মাওবাদীকে শনাক্ত করা হয়েছে। বাকি তিনজনকে শনাক্ত করার কাজ চলছে। মাওবাদীদের ২১৪টি বাঙ্কার গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। নকশালদের প্রায় ৪ টি কারিগরি ইউনিট ভেঙে দেওয়া হয়েছে, এর মধ্যে রয়েছে চারটি কারিগরি ইউনিট, চারটি লেদ মেশিন এবং বিজিএল লঞ্চার এবং নকশালপন্থীদের বিজিএল সেল।
সাংবাদিক বৈঠক থেকে সিআরপিএফ ডিজি জ্ঞানেন্দ্র প্রতাপ সিং বলেন, মাওবাদীরা বস্তার ও বীজাপুরের স্কুলগুলিকে ধবংস করেছিল। আমরা সেগুলিকে ফের স্থাপন করব।
মাও দমনে এটি আমাদের বড় সাফল্য। মাওবাদীরা একজায়গা জড়ো হয়েছিলেন, আমরা তাদের সেই পরিকল্পনা ব্যর্থ করে দিয়েছি। এই অভিযানে মাওবাদীদের চারটি কোম্পানি ধ্বংস করেছি যারা অস্ত্র তৈরি করছিল।
মাওবাদীরা তাদের চিকিৎসার জন্য নিজস্ব দুর্গ তৈরি করেছিল, সেগুলিও আমরা ধবংস করতে সক্ষম হয়েছি। মাওবাদীরা জঙ্গলের যেখানে সেখানে বিস্ফোরক পুঁতে রাখে, সেইগুলিকে ধবংস করে দেওয়া হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে মোট ৪৫০ টি আইইডি উদ্ধার এবং ধ্বংস করেছে। সিআরপিএফ ডিজি জ্ঞানেন্দ্র প্রতাপ সিং, আইডি এবং বিজিএলের কারণে আমাদের বাহিনী সবচেয়ে ক্ষতির শিকার হয়েছে। মানুষ আগে এখানে পুজো দিতে আসত, এখন নকশালদের ক্যাম্প হওয়ার পর থেকে বন্ধ হয়ে গিয়েছে। আবার এটি চালু করব।
দেখুন আরও খবর-