ওয়েব ডেস্ক: ন্যাশনাল হেরাল্ড-সংক্রান্ত মামলায় (National Herald Case) আবারও বিতর্কে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি (ED)। কংগ্রেস (Congress) নিয়ন্ত্রিত অ্যাসোসিয়েটেড জার্নালস লিমিটেড-এর ৬৬১ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্তের নোটিস পাঠানোকে ‘গণতন্ত্রের উপর সরাসরি আঘাত’ বলে তীব্র কটাক্ষ করলেন রাজ্যসভার সাংসদ ও বিশিষ্ট আইনজীবী কপিল সিব্বল (Kapil Sibal)। রবিবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, “আমরা মুখে বলি, ভারত গণতন্ত্রের জননী। কিন্তু বর্তমান সরকার আসলে একনায়কতন্ত্রের জনক (Father Of Dictatorship)। বিরোধীদের দমন করার হাতিয়ার হিসেবে কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলিকে ব্যবহার করছে এই সরকার।”
ইডি আগেই ইয়ং ইন্ডিয়ান ও অ্যাসোসিয়েটেড জার্নালস লিমিটেডের মোট ৭৫২ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছিল। এবার সেই বাজেয়াপ্ত সম্পত্তির একটি বড় অংশ অধিগ্রহণ করতে চলেছে কেন্দ্রীয় সংস্থা ইডি। ইতিমধ্যেই দিল্লির আইটিও, মুম্বইয়ের বান্দ্রা এবং লখনউয়ের বিশ্বেশ্বর নাথ রোডের এজেএল ভবনে নোটিস পাঠানো হয়েছে। দ্রুত ওই প্রাঙ্গনগুলি খালি করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে বলে খবর।
আরও পড়ুন: দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে আইনি নোটিস পাঠাল অখিলেশ যাদবের দল
যদিও ইডির এই পদক্ষেপে ক্ষুব্ধ কংগ্রেস নেতৃত্ব। তাঁদের দাবি, এই তদন্ত প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। কপিল সিব্বলের ভাষায়, “সরকার চাইছে কংগ্রেসকে আর্থিকভাবে পঙ্গু করে দিতে। যাতে দলের কোনও অফিস না থাকে, সংগঠন পরিচালনা করা না যায়। এটা একটা সুপরিকল্পিত আক্রমণ। আমি জানি কংগ্রেসের হাতে এখন খুব একটা অর্থ নেই। ফলে এই ধরণের পদক্ষেপ দলের অস্তিত্বকেই বিপন্ন করছে।”
সিব্বল আরও অভিযোগ করেন, “সরকার বিরোধী নেতাদের বিরুদ্ধে ইডি, সিবিআই লাগাচ্ছে, অথচ যারা দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত, তাদের নিজেদের দলে নিয়ে রাজ্যসভা সদস্য বা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী করছে। তখন তাদের বিরুদ্ধে কোনও তদন্ত হয় না। এটা দ্বিচারিতা এবং গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের চূড়ান্ত অবমাননা।”
দেখুন আরও খবর: