নয়াদিল্লি: ‘পদ্মশ্রী’ ফেরৎ দেবেন বলিউড অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউত! হ্যাঁ, কঙ্গনা নিজেই এ কথা বলেছেন৷ তবে, একটা শর্ত আছে৷ জাতীয় সংবাদ মাধ্যমে ভারতের স্বাধীনতা নিয়ে তাঁর মন্তব্যকে ভুল প্রমাণ করতে হবে৷ তবেই, তিনি ‘পদ্মশ্রী’ সম্মান ফেরৎ দেবেন বলে জানিয়েছেন৷
জাতীয় সাংবাদ মাধ্যমে কঙ্গনা দাবি করেন, ‘১৯৪৭ সালে ভারতের স্বাধীনতা মেলেনি। ‘ভিক্ষা’ মিলেছিল।’ কঙ্গনার এমন মন্তব্যের জন্য বিজেপি সাংসদ বরুণ গান্ধী বলেন, ‘এই ধরনের মন্তব্য করা দেশবিরোধী কাজ। এর বিরুদ্ধে আমাদের সরব হওয়া জরুরি। সরব না হলে যাঁরা দেশের জন্য রক্ত ঝরিয়েছেন, তাঁদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করা হবে।’
कभी महात्मा गांधी जी के त्याग और तपस्या का अपमान, कभी उनके हत्यारे का सम्मान, और अब शहीद मंगल पाण्डेय से लेकर रानी लक्ष्मीबाई, भगत सिंह, चंद्रशेखर आज़ाद, नेताजी सुभाष चंद्र बोस और लाखों स्वतंत्रता सेनानियों की कुर्बानियों का तिरस्कार।
इस सोच को मैं पागलपन कहूँ या फिर देशद्रोह? pic.twitter.com/Gxb3xXMi2Z
— Varun Gandhi (@varungandhi80) November 11, 2021
বরুণ গান্ধী জাতীয় সংবাদমাধ্যমের একটি ভিডিও ক্লিপ টুইট করেন৷ তাতে অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউতকে বলতে দেখা যাচ্ছে, ‘১৯৪৭ সালে পাওয়া স্বাধীনতা আসলে স্বাধীনতা নয়। ছিল ভিক্ষা। স্বাধীনতা তো ২০১৪ সালে এসেছে।’ এই ভিডিও টুইটের ক্যাপশনে বরুণ গান্ধী লেখেন, ‘কখনও মহাত্মা গান্ধীর আত্মত্যাগ ও তপস্যার অবমাননা, কখনও তাঁর হত্যাকারীর প্রতি শ্রদ্ধা৷ আর এখন শহীদ মঙ্গল পান্ডে থেকে রানি লক্ষ্মীবাই৷ ভগৎ সিং, চন্দ্রশেখর আজাদ, নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু এবং লাখো স্বাধীনতা সংগ্রামীর আত্মত্যাগের প্রতি অবজ্ঞা। এই চিন্তাকে পাগলামি নাকি দেশদ্রোহিতা বলবো?’
আরও পড়ুন-গড়চিরৌলির জঙ্গলে এনকাউন্টারে খতম ২৬ মাওবাদী
শুধু বরুণ গান্ধী নয়, তৃণমূল, কংগ্রেস নেতারাও কঙ্গনীর বিরুদ্ধে মুখ খোলেন৷ রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পুর্ণেন্দু বসু কঙ্গনার বিরুদ্ধে ‘শহিদের রক্তে রাঙা ইতিহাসকে অস্বীকার এবং অপমান’ করার অভিযোগ তোলেন৷ অন্যদিকে বিভিন্ন পুরস্কারে সম্মানিত লেখক তথা তৃণমূল বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারীর কটাক্ষ, ‘যে পুরস্কার কংগনা রানাবত পায় আর যাইহোক সে পুরস্কার আমার সম্মান বৃদ্ধি করতো না (লেখা অপরিবর্তিত)৷’