নয়াদিল্লি: শান্তির জন্য নোবেল পেয়েছিলেন। সেই ভারতীয় ব্যক্তি উদ্যত হলেন অশান্ত আফগানিস্তানে শান্তি ফেরাতে। অবিলম্বে আফফানিস্তানের পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে আগামী প্রজন্মকে মাসুল গুণতে হতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি। আলোচিত ব্যক্তি হলেন কৈলাস সত্যার্থী। ২০১৪ সালে পাকিস্তানের মালালা ইউসুফজাইয়ের সঙ্গে যৌথভাবে নোবেল পেয়েছিলেন তিনি।
কীর্তির মধ্যে অনেকটা জায়গা জুড়ে রয়েছে শিশুরা। তালিবানের দখলে যাওয়া আফগানিস্তানের শিশুদের অবস্থা নিয়েই বেশি চিন্তিত কৈলাস। তাঁর মতে, “শিশুরা কখনই যুদ্ধ বিদ্রোহ, হিংসা এবং দারিদ্র্যের জন্য দায়ী নয়। তবুও তারা আমাদের সৃষ্ট সমস্যার সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতির মুখোমুখি শিশুরা। আফগানিস্তান এর একটি বড় উদাহরণ। আমরা যদি এখনই কড়া পদক্ষেপ না নিই তাহলে আফগান শিশুরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে।”
আরও পড়ুন- শিশুকে সিরাপের বদলে বড়দের ইঞ্জেকশন! বিতর্কে ধুপগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতাল
আফগান পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য যুদ্ধের পথে হাঁটতে নারাজ ভারতীয় নোবেলজয়ী। রাষ্ট্রগুলিকে আলোচনার মাধ্যমে এই সমস্যার সমাধানের পক্ষে সওয়াল করেছেন কৈলাস সত্যার্থী। তিনি বলেছেন, “আমাদের বিবেচনা করতে হবে যে আফগান শিশুরা আমাদের সন্তান এবং সেই শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা এবং সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য সম্মিলিত, দ্রুত এবং টেকসই প্রচেষ্টা করা উচিত। শাসক গোষ্ঠীগুলিকে যুক্ত না করে এটা সম্ভব নয়।”
আরও পড়ুন- হাজরার মোড়ে কচুরি খাব তাও ভি অচ্ছা, অনুপম হাজরার কথার উত্তর দেব না: বাবুল
শিশুরা সুস্থ শোইশব না পেলে সমাজ কখনই সুন্দর হবে না। এমনই মনে করেন কৈলাস সত্যার্থী। নোবেল পুরষ্কার পাওয়া এই ব্যক্তি রাষ্ট্রসঙ্ঘের এসডিজি অ্যাডভোকেট পদে নিযুক্ত হয়েছেন। তবে শিশুদের জন্য কাজ করাটা তাঁর ব্যক্তিগত লক্ষ্য বলে দাবি করেন কৈলাস। তাঁর মতে, “এটা আমার মিশন, শুধু জেনারেল অ্যাসেম্বলি নয়। শিশুদের অবশ্যই অগ্রাধিকার দিতে হবে। বাজেট পুনর্বিন্যাস, বিদেশী উন্নয়ন সহায়তা, সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচিতে তাদের ন্যায্য অংশ পেতে হবে। তাদের বড় হওয়ার এবং শিক্ষিত হওয়ার পূর্ণ সুযোগ দিতে হবে।”