ওয়েব ডেস্ক: পাকিস্তানের (Pakistan) হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে ধৃত জ্যোতি মলহোত্রার (Jyoti Malhotra) ঘর থেকে উদ্ধার হয়েছে একাধিক বিস্ময়কর প্রমাণ। তার মধ্যে রয়েছে একখানি ডায়েরি ও একটি হাতে লেখা চিঠি। এই ডায়েরি ও চিঠির পাতায় রয়েছে পাকিস্তানের উল্লেখ, আর রয়েছে এক গোপন আবেগের ইঙ্গিত— ‘Love You খুশমুশ’। কে এই ‘খুশমুশ’? প্রেমিক? কোড নেম? নাকি কারও ছদ্মপরিচয়? রহস্য জটিল হয়ে উঠছে তদন্তকারীদের জন্য।
হরিয়ানা পুলিশের একটি দল জ্যোতিকে নিয়ে যায় তার হিসারের বাড়িতে। যদিও সেখানকার কোনও সদস্যের সঙ্গে দেখা করেনি জ্যোতি। নিজের কিছু পোশাক নিয়ে বেরিয়ে আসে। সেসময়ই একটি চিঠি হাতে পান তদন্তকারীরা। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, সেই চিঠির লেখা জ্যোতির হাতের লেখার সঙ্গেই মিলে যাচ্ছে। তাতে লেখা, ‘‘সবিতা, তুমি ফল নিয়ে এসো। বাড়ির দেখাশোনা করো। আমি শীঘ্রই ফিরে আসব।’’ সঙ্গে ছিল ওষুধের তালিকা। আর শেষে লেখা সেই রহস্যময় লাইন— ‘‘Love You খুশমুশ’’।
আরও পড়ুন: অমৃত ভারত স্টেশন প্রকল্পে বাংলার কোন কোন স্টেশন ?
চিঠি ও ডায়েরির সূত্র ধরেই গোয়েন্দারা অনুমান করছেন, ‘খুশমুশ’ হয়তো জ্যোতির খুব ঘনিষ্ঠ কেউ। কেউ কেউ বলছেন, এটা হয়তো তার কোড নেম। তবে কে এই নাম ধরে ডাকত, বা আদৌ এটা তার ভালোবাসার মানুষ কি না— তা এখনও স্পষ্ট নয় পুলিশের কাছে। জ্যোতির গ্রেফতারির পর থেকেই তার পরিবারের সদস্যরা বাড়ি থেকে সরিয়ে ফেলেছেন তার সব ছবি। পুলিশ ইতিমধ্যেই প্রতিবেশীদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে।
পুলিশ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, এর আগে জ্যোতির ঘর থেকে পাওয়া ডায়েরিতে রয়েছে তার বিভিন্ন যাত্রাপথের বিবরণ। সেখানে পাকিস্তানে থাকার অভিজ্ঞতাও বিস্তারিতভাবে লেখা রয়েছে। লিখেছে, কীভাবে সেখানে সময় কাটাত, কী দেখেছে, কী শিখেছে। ডায়েরি অনুযায়ী, জ্যোতি রাতে অনেকটা সময় ধরে ভিডিও এডিট করত। সেগুলি ইউটিউব ও অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে আপলোড করত। এমনকি ইন্দোনেশিয়ায় যাওয়ার খরচ হিসেব করে সেখানে লিখেছে ‘লাখ লাখ টাকা’ খরচ হয়েছে।
সবচেয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য— তদন্তকারীরা জ্যোতির ঘর থেকে একটি ভাঙা মোবাইলও উদ্ধার করেছেন। সেটি থেকে ডেটা উদ্ধার করার চেষ্টা চলছে ফরেন্সিক টিমের তরফে। আর তার মধ্যেই, ‘খুশমুশ’ নামটি ঘিরে শুরু হয়েছে নতুন রহস্যের জট। এটি কি কোনও গোপন প্রেম? না কি বিদেশি সংস্থার গোপন কোড? উত্তর খুঁজছে পুলিশ।
দেখুন আরও খবর: