ওয়েব ডেস্ক: বিচার ব্যবস্থার (Judiciary System) স্বাধীনতা আজও হুমকির মুখে। বিচারপতি নিয়োগে কলেজিয়ামের (Collegium) প্রস্তাবে সবুজ সংকেত দেওয়ায় দেরি তারই একটি উদাহরণ। মন্তব্য বিচারপতি অভয় এস ওকার (Justice Abhay S Oka)। তিনি বলেন, বিচারব্যবস্থা যে আজও হুমকির মুখে, তার একটা উদাহরণ দিচ্ছি। বিচারপতি নিয়োগে রয়েছে কলেজিয়াম ব্যবস্থা। কীভাবে এই ব্যবস্থা কাজ করে তার স্বচ্ছতা রয়েছে। কাদের নাম সুপারিশ করা হল, তা ওয়েবসাইটে দিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু সেই নামগুলির প্রতি সরকারি সবুজ সংকেত প্রদানে কখনো ৯ মাস, ১০ মাস, এমনকি এক বছরও লেগে যায়।
বিচারপতি ওকা আরও বলেন, ওয়েবসাইটে নাম ওঠার পর সংশ্লিষ্ট প্রার্থীদের মানসিক অবস্থার কথা একবার কল্পনা করুন। সেই ব্যক্তির পক্ষে তখন আর কাজ করা সম্ভব নয়। তিনি বিচারপতি হতে চলেছেন। অথচ তাঁর জন্য অপেক্ষার কোনও সীমা নেই। এর ফলে বিচার ব্যবস্থার স্বাধীনতায় কি ছাপ পড়ে না? এক প্রাক্তন বিচারপতির স্মৃতিতে আয়োজিত গোয়া হাইকোর্ট (Goa High Court) বার অ্যাসোসিয়েশনে দেওয়া বক্তৃতায় মন্তব্য প্রাক্তন বিচারপতি ওকার। যেখানে ভাষণের বিষয়বস্তুই ছিল বিচার ব্যবস্থার স্বাধীনতা।
আরও পড়ুন: নয়া ওয়াকফ বিধি পোর্টালে প্রকাশ করল কেন্দ্র
বিচারপতি নিয়োগে আমলাতান্ত্রিক দীর্ঘসূত্রিতা অতি সাধারণ ব্যাপার। অথচ প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না কলেজিয়াম ব্যবস্থার স্বচ্ছতার স্বার্থে সব তথ্য সামনে আনার ব্যবস্থা করেছিলেন। একজন প্রার্থীর নিয়োগ চূড়ান্ত হওয়ার পথে সংশ্লিষ্ট হাইকোর্ট, রাজ্য সরকার এবং অন্যান্য কর্তৃপক্ষের মতামত দেওয়ার সম্পূর্ণ অধিকার থাকে। মুখ্যমন্ত্রী বা রাজ্যপাল আপত্তি জানাতে পারেন। এছাড়াও ইন্টেলিজেন্স ব্যুরোর রিপোর্ট থাকে। যে দফতর কেন্দ্রীয় সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক দ্বারা পরিচালিত হয়। ফলে সেই সব যাবতীয় অভিমত ও তথ্য সহ কলেজিয়াম প্রার্থীর যোগ্যতা বিচার করে বলে জানান বিচারপতি ওকা।
স্বাধীনতার পর ৭৫ বছর পেরিয়ে গেলেও মানুষের মৌলিক অধিকার রক্ষা করা আজও গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু বিচার ব্যবস্থা স্বাধীন না থাকলে মৌলিক অধিকার এবং গণতন্ত্র টিকবে না। বিচার ব্যবস্থাই বস্তিবাসী, গরিব এবং সমাজের পিছনের সারিতে থাকা মানুষকে রক্ষাকবচ দেয়। মন্তব্য বিচারপতি ওকার।
দেখুন অন্য খবর: