কারনাল: কারনাল কাণ্ডে বিচারবিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিল হরিয়ানা সরকার। আগামী এক মাসের মধ্যে কারনাল কাণ্ডের রিপোর্ট জমা দিতে হবে রাজ্যের গঠিত তদন্ত কমিটিকে। আর এই একমাস অভিযুক্ত আইএএস আধিকারিককে ‘ছুটিতে’ পাঠানোর নির্দেশ দিল হরিয়ানা সরকার। আর শনিবার সেই খবর সামনে আসতেই আন্দোলন প্রত্যাহার করল হরিয়ানায় বিক্ষোভরত কৃষকেরা। গত সপ্তাহে কৃষকদের লাঠি চার্জ করে মাথা ফাটিয়ে দেওয়া নিয়ে একটি ‘বিতর্কিত’ মন্তব্য করেন কারনালের জেলা শাসক আয়ুশ সিনহা। আর সেই ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতেই সূত্রপাত হয় বিক্ষোভের। গত ২৮ অগাস্টের আইএএস আধিকারিকের নির্দেশেই কৃষকদের ওপর লাঠিচার্জ করে পুলিশ। ঘটনায় আহত হন ১০ জন কৃষক। মূলত, মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল খাট্টারের বিরুদ্ধে পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন কৃষকেরা।
আরও পড়ুন: Breaking: পদত্যাগ করলেন গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী
এই ঘটনার পর বিক্ষোভ দেখাতে কারনালের রাস্তায় নেমে পড়েন কৃষকেরা। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে এলাকার ইন্টারনেট সংযোগ ও মোবাইল পরিষেবা বন্ধ করে দেয় স্থানীয় প্রশাসন। ওই আধিকারিককে পদ থেকে অপসারনের দাবি উঠতে থাকে কৃষকদের পক্ষ থেকে। এমন পরিস্থিতিতে কৃষকদের হয়ে মানবাধিকার কমিশনের দ্বারস্থ হওয়ার দাবিও তোলা হয় কংগ্রেসের তরফে।
আরও পড়ুন: করোনার প্রথম টিকা না নিলে ছুটি বাধ্যতামূলক, পঞ্জাব সরকারের নয়া নির্দেশ
এমন পরিস্থিতিতে হরিয়ানার মনোহর লাল খাট্টার সরকারের সঙ্গে এক সপ্তাহের ওপর টানাপোড়েন চলতে থাকে কৃষকদের। যদিও ঘটনার তদন্ত না করে ওই আধিকারিকের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছিলেন রাজ্যের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অনিল ভিজ। তারপরই ওই ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশ দেয় মনোহর লাল খট্টর প্রশাসন। সেইসঙ্গে অভিযুক্ত আধিকারিককে ‘ছুটিতে’ পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই ‘ছুটি’ আসলে তদন্ত চলাকালীন ওই অভিযুক্ত আধিকারিককে কাজ থেকে অব্যাহতি দেওয়ার কৌশল বলেই মনে করেছে বিশেষজ্ঞমহল।