ভোপাল: একদল সাংবাদিক ও নাট্যকর্মীকে গ্রেফতার করে হেনস্থার অভিযোগে দুই পুলিস আধিকারিককে সাসপেন্ড করা হল। মধ্যপ্রদেশের সিধি জেলার ঘটনা কয়েকদিন আগের। পুলিসের বক্তব্য, ধৃতেরা কেউ সাংবাদিক বা নাট্যকর্মী নন, দুষ্কৃতী। তাঁদের প্রথমে আটক করা হয়। পরে গ্রেফতার করা হয়। অন্তর্বাস পরা অবস্থায় ৮ জনের ওই ছবি ভাইরাল হয় নেট দুনিয়ায়। তার পরই নড়েচড়ে বসে মধ্যপ্রদেশ পুলিস। সাসপেন্ড করা হয়েছে কোতোয়ালি সিধি থানার স্টেশন ইনচার্জ ও একজন সাব ইন্সপেক্টরকে।
যদিও জামাকাপড় খুলিয়ে অর্ধনগ্ন করে রাখার ব্যাপারে পুলিসের বক্তব্য, ধৃতেরা জেলের মধ্যে যাতে আত্মহত্যা না করতে পারে, সেজন্যই এমনটা করা হয়েছে। ২ এপ্রিলের ওই ঘটনার প্রতিবাদে নেট দুনিয়ায় ঝড় উঠেছে। প্রতিবাদে সরব হয়েছেন সাংবাদিকরাও। ৩ এপ্রিল অবশ্য ধৃতদের ছেড়ে দেওয়া হয়। ইউটিউবার এবং সাংবাদিক কণিষ্ক তিওয়ারিকে ওই ছবিতে শনাক্ত করা গিয়েছে। মধ্যপ্রদেশের বিশিষ্ট নাট্য ব্যক্তিত্ব নীরজ কুন্দেরকে গ্রেফতারের খবর করতে গিয়েছিলেন তিনি।
কণিষ্কের বিরুদ্ধে অভিযোগ, স্থানীয় বিজেপি বিধায়ক কেদারনাথ শুক্লা এবং তাঁর ছেলে গুরু দত্ত সম্পর্কে তিনি ভুয়ো আইডি ব্যবহার করে বিরূপ মন্তব্য করেছেন। নীরজ সিদ্ধি জেলার ইন্দ্রাবতী নাট্য সমিতির অধিকর্তা। তাঁর গ্রেফতারির প্রতিবাদে স্থানীয় অনেকে থানায় যান। সেখানে ছিলেন কণিষ্ক এবং নীরজের বাবা-মাও। প্রতিবাদীদের মধ্যে ছিলেন নাট্যকর্মী নরেন্দ্র বাহাদুর সিং।
নরেন্দ্র বলেন, থানায় তাঁদের ৮ জনকে মারধর করা হয়। বলা হয়, সকলকে গ্রেফতার করা হল। এখানেই শেষ নয়। ৮ জনকেই জামাকাপড় খুলিয়ে দাঁড় করিয়ে রাখা হয় দীর্ঘক্ষণ। কণিষ্ক জানান, নীরজের গ্রেফতারির সম্পর্কে জানতেই তিনি থানায় গিয়েছিলেন। তার পরেই তাঁদের উপর অত্যাচার চালানো হয়। তাঁর আরও দাবি, রাজনীতিবিদ এবং পুলিস কর্তাদের অপকর্মের বিরুদ্ধে তিনি লেখালেখি করেন বলেই পুলিস এই কাণ্ড ঘটিয়েছে।