ওয়েবডেস্ক- সেনা ও পুলিশ যৌথ অভিযানে ফের বড়সড় সাফল্য। জম্মু কাশ্মীরের (Jammu Kashmir) সোপিয়ানে (Shopian) বাহিনীর অভিযানে লস্কর ই তৈইবার দুই জঙ্গি আত্মসমর্পণ। পহেলগাম কাণ্ডের পর থেকেই জেলাজুড়ে সন্ত্রাস দমনে নেমে জোরকদমে অভিযান চালাচ্ছে নিরাপত্তাবাহিনী। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার সোপিয়ানে অভিযান চালায়। বাহিনীর সঙ্গে টক্কর নিতে না পেরে আত্মসমর্পণ করে দুই লস্কর-ই-তৈইবার (এলইটি) (LeT terrorists) দুই জঙ্গি।
গোপন সূত্রে খবর পেয়ে, যৌথভাবে অভিযান চালায় সেনা ও পুলিশ। এই তল্লাশি অভিযানে চালায় ৪৪ রাষ্ট্রীয় রাইফেলস, সিআরপিএফ এবং পুলিশের যৌথবাহিনী। ধৃতদের বিরুদ্ধে এফআইআর করে তদন্ত শুরু হয়েছে।
পুলিশের বিবৃতি অনুযায়ী, দক্ষিণ কাশ্মীরের সোপিয়ান জেলার বাসকুচানে দুই জঙ্গি ঘাঁটি গেড়ে আছে বলে খবর আসে। সেই মতো অভিযানে নামে যৌথ বাহিনী। গোটা এলাকা ঘিরে ফেলা হয়। বাহিনীর তৎপরতায় দুই জঙ্গি ইরফান বশির এবং উজাইর সালাম আত্মসমর্পণ করে। ধৃতদের কাছ থেকে দু’টি একে-৫৬ রাইফেল, চারটি ম্যাগাজিন, ১০২ রাউন্ড কার্তুজ, দু’টি গ্রেনেড, ৫৪০০ টাকা নগদ, একটি মোবাইল, একটি স্মার্টওয়াচ, দুই প্যাকেট বিস্কুট এবং একটি আধার কার্ড উদ্ধার হয়েছে।
আরও পড়ুন- অভিযুক্তদের খালাস করতে গিয়ে হাইকোর্টে ধাক্কা কর্নাটক সরকারের
এর আগে ১৬ মে কাশ্মীর জোনের আইজিপি ভি কে বিরদি বলেছিলেন যে জম্মু ও কাশ্মীরে জম্মু ও কাশ্মীরে পুলিশ এবং কেন্দ্রীয় রিজার্ভ পুলিশ বাহিনীর (সিআরপিএফ) সমন্বয়ে সেনা কেলার, শোপিয়ান এবং ত্রালে দুটি পৃথক অভিযানের সময় ছয়জন সন্ত্রাসীকে নিকেশ করে। কাশ্মীরের উপত্যকায় প্রথমে সন্ত্রাসী কার্যকলাপের উপর জোর দিচ্ছে বাহিনী, নিয়াপত্তাবাহিনী জঙ্গিদের কার্যকলাপ নজরে রাখতে তার পরে অভিযান চালানো হচ্ছে। এই নীতি নেওয়ার ফলে আমরা গত ৪৮ ঘন্টায় সফল অভিযান করতে পেরেছি।
প্রসঙ্গত, গত ২২ এপ্রিল জঙ্গি হানার পর সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে ভারত। জম্মু কাশ্মীরেও সেনা অভিযান জোরদার করেছে। কয়েকদিন আগে সোপিয়ানে অপারেশন ‘কেলার’ অভিযান শুরু হয়েছিল। সেই অভিযানে তিন লস্কর জঙ্গিকে নিকেশ করে সেনা। এরপর আরও দুই জইশ-ই-মহম্মদ জঙ্গিকেও খতম করেছে সেনা। এর পর আজ সোপিয়ানে দুই জঙ্গির আত্মসমর্পণের মধ্যে দিয়ে ফের সাফল্য।
দেখুন আরও খবর-