কোভ্যাকসিন, কোভিশিল্ড, স্পুটনিক ভি-র পর নতুন টিকা পেতে চলেছে ভারত। আমেরিকান ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি জনসন অ্যান্ড জনসন-এর টিকা জ্যানসেন জুলাই মাসেই হাতে পাচ্ছে ভারত। তবে প্রাথমিকভাবে খুবই অল্প পরিমাণ ডোজ ভারতে পাঠাবে সংস্থা। ভারতে টিকার যোগান দেওয়ার জন্য একটি সংস্থার সঙ্গে চুক্তিও করেছে জনসন অ্যান্ড জনসন।
আরও পড়ুন: দৈনিক সংক্রমণ ৫০ হাজারের নীচে, বাড়ছে সুস্থতার হার
অ্যাসোসিয়েশন অফ হেলথকেয়ার প্রোভাইডার (ভারত) জনসন অ্যান্ড জনসন-এর থেকে সরাসরি এই টিকা ভারতে আনবে। জুলাইয়ের শুরুতেই এই ভ্যাকসিন আসার কথা রয়েছে। প্রাথমিকভাবে কয়েক হাজার ডোজ দেশে আসবে। ভারতের বাজারে সিঙ্গল ডোজ ভ্যাকসিন জ্যানসেনের দাম ২৫ ডলার (ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ১৯০০টাকা)।
ভাইরাল ভেক্টর ভ্যাকসিন জ্যানসেন সংরক্ষণ তুলনামূলকভাবে সহজ। এই ভ্যাকসিন হিমাঙ্কের নীচে না রাখলেও কার্যকরী থাকবে। ভারতের মতো দেশে, যেখানে দেশের সর্বত্র ভ্যাকসিন সংরক্ষণের ব্যবস্থা নেই, সেখানে এই ভ্যাকসিন অত্যন্ত জরুরি। কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে ইতিমধ্যেই টিকা সংক্রান্ত নানা বিষয়ে কথা চালাচ্ছে মার্কিন ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানিটি।
আরও পড়ুন: ভয় দেখাচ্ছে ডেল্টা, অভিজিৎ বলছেন জয় হবেই
ফাইজার এবং মডার্নার পরে আমেরিকায় তৃতীয় করোনা প্রতিষেধক হিসেবে ফেব্রুয়ারির শেষে ছাড়পত্র পেয়েছিল জনসনের টিকা। সিঙ্গল ডোজ এই ভ্যাকসিন অন্য টিকার তুলনায় সংরক্ষণ করাও সহজ। এই টিকা নেওয়ার পর আমেরিকায় কয়েক জনের শরীরে রক্ত জমাট বাঁধার মতো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছিল বলে অভিযোগ উঠেছিল। সেটা এপ্রিল মাসের কথা।
১৪ এপ্রিল জনসন অ্যান্ড জনসনের টিকাকরণ স্থগিত রাখার কথা ঘোষণা করেছিল এফডিএ এবং সিডিসি। পরে অবশ্য বিশেষজ্ঞ কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতেই ফের জনসনের টিকা চালু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। ডেল্টা স্ট্রেনের সংক্রমণ ঠেকাতে পারে অনুমান করে ইংল্যান্ডও মে মাসে ছাড়পত্র দিয়েছিল জনসনের টিকাকে।
আরও পড়ুন: নবান্নের প্যাড জাল করে বিএসএফ রক্ষী নিয়োগ দেবাঞ্জনের
দেশে গত দেড় মাস ধরে সংক্রমণের গতি কিছুটা নিম্নমুখী। সুস্থতার হার যেমন বাড়ছে, তেমন দৈনিক মৃত্যুও কমছে। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে যত জন সংক্রমিত হয়েছেন, তার চেয়ে ঢের বেশি মানুষ সুস্থ হয়ে উঠেছেন। দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৬৪ হাজার ৮১৮ জন৷ একদিনে আক্রান্তের সংখ্যা ৪৮,৬৯৮৷ ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ১১৮৩ জনের৷