রাঁচি: চাপ বাড়ছে কেন্দ্রের উপর৷ আইএএস ক্যাডার রুল সংশোধন নিয়ে প্রতিবাদ জানাচ্ছে অবিজেপি শাসিত রাজ্যগুলি৷ দু’দিন আগে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রের নয়া ক্যাডার রুল সংশোধনী প্রস্তাবকে ‘দমনমূলক’ এবং ‘যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর পরিপন্থী’ বলে জানিয়ে দ্বিতীয়বার চিঠি পাঠান৷ এবার ওই বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখলেন ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন৷ চিঠিতে তিনি প্রধানমন্ত্রীর কাছে জানতে চেয়েছেন, কী এমন ঘটল যার জন্য আইএএস সংক্রান্ত আইন সংশোধনের প্রয়োজন হল কেন্দ্রীয় সরকারের৷ হেমন্ত মনে করেন, কেন্দ্রের এই প্রস্তাব যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর আঘাতের চেষ্টা৷ তাই মোদির কাছে তাঁর আর্জি, অবিলম্বে ওই আইনের খসড়া মাটি চাপা দিন৷
আইএএস (ক্যাডার) সার্ভিস রুল ১৯৫৪ সংশোধন করে কেন্দ্রীয় সরকার চাইছে, জনস্বার্থে এবং কোনও নির্দিষ্ট পরিস্থিতিতে কোনও অল ইন্ডিয়া সার্ভিস অফিসারকে ডেকে নিতে৷ রাজ্য তাতে সম্মতি না দিলেও কেন্দ্র ওই আমলাকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেবে৷ এতেই তীব্র আপত্তি জানিয়েছে অবিজেপি শাসিত রাজ্যগুলি৷ অভিযোগ, ক্যাডার রুল সংশোধন করে আমলাদের উপর রাজ্যের নিয়ন্ত্রণ খর্ব করতে চাইছে কেন্দ্র৷ ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ একই পথে হাঁটলেন ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন৷
I have written to @PMOIndia expressing strong reservations on the proposed All India Services cadre rule amendments by Govt of India. They promote ‘unilateralism’ rather than ‘cooperative federalism’. I hope he will consider my request and bury the proposal at this stage itself. pic.twitter.com/PXiz9MY52N
— Hemant Soren (@HemantSorenJMM) January 22, 2022
চিঠিতে ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী সাফ জানিয়েছেন, আইএএস, আইপিএস এবং আইএফএস অফিসারদের মাধ্যমে সরকারকে কাজকর্ম চালাতে হয়৷ এক এক অফিসার একাধিক দফতরের দায়িত্বে থাকেন৷ এমনিতেই পর্যাপ্ত সংখ্যা আমলা না থাকার কারণে রাজ্যকে ভুগছে হচ্ছে৷ তার উপর কেন্দ্র মর্জিমাফিক রাজ্য থেকে আমলাদের তুলে নিয়ে আরও অসুবিধায় পড়তে হবে৷ বিভিন্ন কেন্দ্রীয় প্রকল্প এবং প্রজেক্টের কাজ রাজ্যের মারফতই হয়ে থাকে৷ যেগুলির দায়িত্বে থাকেন আমলারাই৷ রাজ্যে আমলার সঙ্কট তৈরি হলে সেই প্রকল্পগুলি বিশ বাঁও জলে পড়বে৷ পাশাপাশি তিনি আমলাদের পারিবারিক জীবনে সমস্যার কথাও তুলে ধরেন৷ জানান, হঠাৎ করে কোনও আমলাকে ডেপুটেশনে বাইরে কোথাও চলে যেতে হলে তাঁর পরিবারকেও অসুবিধার মধ্যে পড়ে যেতে হবে৷
আরও পড়ুন: Goa Polls: মমতা-অভিষেকের সঙ্গে গোয়ায় তৃণমূলের প্রচারের মুখ বাবুল-মহুয়া-ডেরেক
আবার কড়া ভাষায় হেমন্ত সোরেন এটাও জানিয়ে দেন, কেন্দ্রের এই প্রস্তাব যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর পরিপন্থী৷ এতে কেন্দ্র-রাজ্য সম্পর্কই নষ্ট হবে৷ আশঙ্কা প্রকাশ করে তিনি জানিয়েছেন, এই আইনে আমলাদের হেনস্তা করা এবং রাজ্যের বিরুদ্ধে প্রতিহিংসামূলক রাজনীতি করার সুযোগ রয়েছে৷ তাই কেন্দ্রকে তিনি সিদ্ধান্ত পুর্নবিবেচনা করার আবেদন করেন৷